আরইবি-পিবিএস সিস্টেমের যুগোপযোগী সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন গত ৫ জুন থেকে সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল/নেতৃবৃন্দের আহ্বান এবং বিদ্যুৎ বিভাগের লিখিত আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ৩০ জুন তারিখ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। এখন তারা সরকারের প্রতি এই আস্থার প্রতিফলন চেয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সমিতি থেকে জানানো হয়, বিদ্যমান সংকটের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে গত ১৭ জুন আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় কোম্পানি গঠনের সুপারিশ প্রণয়ন এবং সকল চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিতকরণ, মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল, সকল সংযুক্ত ও সাময়িক বরখাস্তকৃত এবং অন্যায়ভাবে বদলিকৃতদের পদায়নের লক্ষ্যে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উক্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
তবে আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করলেও অপেক্ষাকৃত সহজ এবং স্বল্প সময়ে নিষ্পত্তিযোগ্য বিষয়- বিশেষ করে মামলা প্রত্যাহার, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, লাইনক্রুদের হয়রানিমূলক বদলি স্থগিতসহ সকল হয়রানিমুলক বদলি আদেশ পুনর্বিবেচনা, সাময়িক বরখাস্ত ও সংযুক্তদের পদায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে কমিটির কার্যকর তৎপরতা এখনো দৃশ্যমান নয়। এছাড়া, আন্দোলনের কারণে কর্মস্থলে যোগদান করতে না পারা ৫ জন লাইনক্রুর বিষয়টিও আজও নিষ্পত্তিহীন রয়েছে।
অপরদিকে, চলমান সংকট সমাধানে আন্তরিক না হয়ে, বিদ্যুৎ বিভাগের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সমিতিগুলোর কর্মপরিবেশ পুনরায় অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে আরইবি বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। একইসাথে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহক সেবার স্বার্থে চেইন অব কমান্ড অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা প্রতিপালন, সংকটের স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য্য ধারণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সম্পর্কিত বিদ্বেষমূলক প্রচার প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল সহকর্মীকে অনুরোধ করা হয়।
দীর্ঘ প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত হলেও কোনো একটি বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ সমাধান দৃশ্যমান না হওয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, কমিটির পাশাপাশি আরইবি কর্তৃক সমাধানযোগ্য বিষয়গুলো অতি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হলে সমিতির কর্মপরিবেশ স্বাভাবিক হবে। কর্মী অসন্তোষ হ্রাস করতে অপেক্ষাকৃত সহজ বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য অনুরোধ করছি।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশন সরকার তথা বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি আস্থা রেখে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করে, সহজে সমাধানযোগ্য বিষয়গুলো অতি স্বল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান করে বিদ্যুৎ বিভাগ ও গঠিত কমিটি ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর আস্থার প্রতিফলন ঘটাবে।