লক্ষ্মীপুর, ০৬ সেপ্টম্বর – গণতন্ত্রের লড়াইয়ে যদি রক্ত দিতে হয়, আরও রক্ত দেওয়া হবে, রক্তের বদলে হলেও সব ষড়যন্ত্রকে ভেদ করে এই দেশে গণতন্ত্র এবং নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান।
তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। অনেক রক্ত বিএনপি দিয়েছে। ১৭ বছরে বিএনপির রক্ত রঞ্জিত হয়েছে বাংলাদেশের রাজপথ। বিএনপি রক্ত দিতে ভয় পায় না। বিএনপি ভয়ে ছদ্মনামে অন্য দলে যায় না। বিএনপি রক্ত দেয়, নিজ পরিচয়ে থেকেই, শহীদ জিয়ার পরিচয় থেকেই, বিএনপির পরিচয় থেকেই রক্ত দেয়। রক্ত আরও দেবো আমরা, কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করবো না।
আযম খান বলেন, এই দেশটা স্বাধীন করেছিলাম গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্যে, মানবাধিকারের জন্যে, আইনের শাসনের জন্যে। দেশটা আফগানিস্তান করfর জন্য স্বাধীন করি নাই। কোনো জঙ্গীবাদের দেশে পরিণত করার জন্য স্বাধীন করি নাই।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির প্রথম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। হাজিরপাড়া হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়।
আহমেদ আযম খান বলেন, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা যাতে না হয়। জনগণের ভোটের অধিকার যাতে প্রতিষ্ঠিত না হয়, নির্বাচিত সরকার যাতে না আসতে পারে, সেজন্য কঠিন ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করার জন্য আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের ভেতরে এবং বাহিরে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্র করছে পলায়নরত ফ্যাসিবাদী শক্তি ও একাত্তরের ওই পরাজিত শক্তি।
তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুরের ৫৬ জন নেতা গুম খুনের শিকার হয়েছে। যারা গুম হয়ে গেছে আজ পর্যন্ত পরিবার আশায় রয়েছে তাদের সন্তান, স্বামী, পিতা, ভাই কবে ফিরে আসবে। ফিরে আসছে না। যুগ পার হয়ে যাচ্ছে ফিরে আসছে না। কবে এই গুম খুনের বিচার হবে, আমরা ন্যূনতম বিচারটি দেখে যাবো। যারা নিজেদেরকে আত্মাহুতি দিয়েছেন গণতন্ত্রের জন্য, সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, আমাদের দল বিএনপি সরকার গঠন করবে। ওই ৫৬টি পরিবারের মুখে হাসি ফুটাবে। তারা বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। সেজন্য আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ওই যড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।
চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক এম বেল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন– বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভিপি হারুন, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন,জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি মো. ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী ও সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের সদর থানা বিভক্ত হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা গঠিত হয়। ২০২২ সালে ২৯ অক্টোবর সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপি থেকে বিভক্ত করে সম্মেলন ছাড়াই চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫