চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারদিক যখন প্রায় আমশূন্য, তখন কেবল এই বাগানে আমের এমন চোখজুড়ানো দৃশ্য দেখে আমপ্রেমীরা আপ্লুত না হয়েই পারেন না। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বাগানে গিয়ে মুগ্ধ হয়েছেন পর্যবেক্ষণে যাওয়া কৃষিবিদ, আমবিজ্ঞানীরাও। এ সময় তাঁদের সঙ্গে কথা হলো এই প্রতিবেদকের।
বেসরকারি কলেজে প্রভাষকের চাকরি ছেড়ে ২০০৯ সাল থেকে ফল চাষে যুক্ত হন রফিকুল। জানালেন, ১০ থেকে ১১ বছর ধরে আমটিকে পর্যবেক্ষণ করে আসছেন। তাঁর আম্রপালি বাগানের একটি গাছে আলাদা এমন বৈশিষ্ট্যের আম দেখে শুরু হয় পর্যবেক্ষণ। ওই গাছের ডগা কেটে প্রথমে ১৮টি চারাগাছ তৈরি করে রোপণ করেন। ওই ১৮ গাছের আম বেশ কয়েক বছর পর্যবেক্ষণের পর তিনি তিন বছর আগে ১৮ গাছের ডগা (সায়ন) নিয়ে ৫০০ ছোট গাছে প্রতিস্থাপন করেন টপওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে। দুই বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে ফলন দিচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের ৭-৮ তারিখ থেকে পাকা শুরু করে। ভালোভাবে পাকে মধ্য সেপ্টেম্বরে। থাকে অক্টোবর পর্যন্ত। এ আমে রোগবালাই নেই বললেই চলে। কোনো রাসায়নিক সার প্রয়োগ ছাড়াই চাষ করে আসছেন রফিকুল। এ দিক দিয়ে এ আম চাষে খরচ কম। রফিকুল গত বছর বিক্রি করেছেন ১১ হাজার টাকা মণ দরে। এবার বাগানে কমপক্ষে ৫০ মণ আম হবে। গড়ে ১০ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করতে পারবেন।
আমটির জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেন রফিকুল, ‘চোখ বুজে খেলে আমটি রসগোল্লার মতোই মিষ্টি লাগবে। এটা প্রকৃতিরই দান। আমার হাত দিয়ে প্রসারিত হচ্ছে বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।’