এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালক আবদুলায়ে সেক বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক তার সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন আবদুলায়ে সেক।
আজ সোমবার ২৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আবদুলায়ে সেক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি আগামী জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাংক থেকে অবসরে যাচ্ছেন।
অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বব্যাংক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভৌত অবকাঠামো, জলবায়ু সহিষ্ণুতা, সেবা পদ্ধতি ডিজিটালাইজেশন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাখাতের উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহায়তা করায় আবদুলায়ে সেককে ধন্যবাদ জানান।
আবদুলায়ে সেক প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাংক প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থায়ন অনুমোদন করেছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে জলবায়ু-সহিষ্ণুতা ও টেকসই পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরীর স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবার মানন্নোয়নে ব্যয় করা হবে।
বাংলাদেশে সবুজ অর্থায়ন ও নগর উন্নয়নে গতকাল রোববার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৯০০ মিলিয়ন ডলারের দু’টি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে একটি চুক্তির আওতায় কক্সবাজার থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত অর্থনৈতিক করিডোর বরাবর জলবায়ু-সহিষ্ণু এবং নারী-বান্ধব অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে নগর উন্নয়ন করা হবে। অন্য চুক্তির আওতায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা দেওয়া হবে, যা চলতি মাসের মধ্যে জাতীয় কোষাগারে ছাড় করা হবে।
১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন সহায়তা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বিশেষ করে দারিদ্র্য বিমোচন, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অবদান রাখছে।
প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী আবাসিক পরিচালকের সুস্থ-সুন্দর অবসর জীবন এবং তার পরিবারের জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।