নতুন প্রস্তাবের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা তো প্রভিন্সিয়াল (প্রাদেশিক) ধারণার মধ্যে যাচ্ছি না। আমরা ইউনিটারি টাইপ অব গভর্নমেন্ট (একক সরকার কাঠামো)। তাহলে এই ৭৬ জন সদস্যের ক্ষমতা বা কার্যপরিধি কী হবে? আবার সিটি করপোরেশনে তো আগে থেকেই একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন— তার সঙ্গে নতুন একজন প্রতিনিধি আনতে হবে কেন?’
দ্বিকক্ষ সংসদ সংক্রান্ত আলোচনায় এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা আমাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে ইতিমধ্যে আপার হাউস গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল সমাজের বিভিন্ন সেক্টরে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মেধা, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতাকে রাষ্ট্র পরিচালনায় যুক্ত করা। সেই উদ্দেশ্যে প্রতিনিধিত্বমূলক একটি উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম।’
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, উচ্চকক্ষের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি মোটামুটি ঐকমত্য আছে, তবে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে একমত হওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘কেউ বলছে, নিম্নকক্ষের আসন অনুপাতে প্রতিনিধি আসবে, কেউ বলছে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন হতে হবে। কমিশন এখন এসব প্রস্তাব পর্যালোচনা করবে।’