বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সংবিধান ছুড়ে ফেলার কথা বললেই সেটি বাতিল হয়ে যায় না।
শুক্রবার (৪ জুলাই) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের এক বক্তব্য প্রসঙ্গে রিজভী এই মন্তব্য করেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) নীলফামারীর চৌরঙ্গীতে এক পথসভায় নাহিদ ইসলাম বর্তমান সংবিধান বাতিল করে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “সংবিধান সংশোধন করা যায়, এতে সংযোজন-বিয়োজন করা যায়—এটাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কেউ যদি ছুড়ে ফেলার কথা বলেন, তাতে সংবিধান বাতিল হয় না।”
দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে রিজভী জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, “যেসব নেতাকর্মী অনৈতিক বা সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪-৫ হাজার নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশেষ করে বনানীতে যুবদলের এক নেতার নারী নিপীড়নের ঘটনায় তাকে দ্রুত বহিষ্কার করা হয়েছে।”
রিজভী আরও বলেন, “বিএনপি কখনও সন্ত্রাস বা মাফিয়াতন্ত্রকে প্রশ্রয় দেয়নি। দলীয় শৃঙ্খলা ও গঠনমূলক সংস্কারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।”
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, “যারা গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচার চাপিয়ে দিতে চায়, জনগণ তাদের উদ্দেশ্য বুঝে গেছে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই স্পষ্ট হবে জনগণ কাকে সমর্থন করে।”