সংঘর্ষ-ধরপাকড়ের খবর নেই চীনা সংবাদমাধ্যমে | আন্তর্জাতিক

<![CDATA[

চীনে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের দমন-পীড়নের খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হলেও নীরব ভূমিকা পালন করছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি। চলমান বিক্ষোভ কিংবা আটকের খবর প্রকাশ হতে দেখা যায়নি চীনের মূলধারার অন্য তেমন কোনো সংবাদমাধ্যমেও।

ক্রমেই বড় হচ্ছে চীনের লকডাউনবিরোধী আন্দোলন। সাংহাই থেকে শুরু করে বেইজিং, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন শহরে। সোমবারও (২৮ নভেম্বর) পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে রাস্তায় নামেন কয়েক হাজার মানুষ। বিক্ষোভ দমনে সাংহাইয়ে বিভিন্ন সড়কে মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। দমন-পীড়নের পাশাপাশি চলে ব্যাপক ধরপাকড়। 

চীনে হঠাৎ করে ছড়িয়ে পড়া এ আন্দোলন পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হলেও, এক্ষেত্রে নীরব চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি। চলমান বিক্ষোভ নিয়ে সোমবারও কোনো সংবাদ প্রচার করেনি চ্যানেলটি। কিছুদিন আগেই তৃতীয় মেয়াদে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নেতা নির্বাচিত হন শি জিনপিং। এর মধ্যেই চলমান এ বিক্ষোভকে চীনা প্রেসিডেন্টের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

আরও পড়ুন: ক্ষোভে ফুঁসছে চীন, চ্যালেঞ্জের মুখে শি জিনপিং

এদিকে সাংহাইয়ে সংবাদ সংগ্রহের সময় বিবিসির এক সাংবাদিককে মারধরের পর গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিবিসি কর্তৃপক্ষ। তবে সাংহাই পুলিশের দাবি, গ্রেফতারের সময় নিজের পরিচয় প্রকাশ করেননি ওই সংবাদিক। তবে আটকের পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা কৃর্তপক্ষ।  

চীনে চলমান এ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। লন্ডনে চীনা দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করেন দেশটিতে বসবাসরত চীনা নাগরিকরা। অবিলম্বে চীনে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার দাবি জানান তারা। বিক্ষোভে যোগ দিতে দেখা গেছে স্থানীয়দেরও। এছাড়াও একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। চীনের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন দেশটিতে বসবাসরত চীনা নাগরিকরা। 

সম্প্রতি চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত শহর উরুমকিতে একটি বহুতল ভবনে আগুন লেগে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনার জন্য করোনার বিধিনিষেধকে দায়ী করেন স্থানীয়রা। মূলত ওই ঘটনার জের ধরেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শহরে।

]]>

Scroll to Top