মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র করতে করতে জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে থেকে ৩-২ গোলে নেপালের বিপক্ষে জিতেছে আফঈদা খন্দকারের দল। শেষ মিনিটে তৃষ্ণা রাণীর গোলে জিতে টেবিলের শীর্ষে বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে আক্রমণ, বল দখল বা গতি সবদিক থেকেই এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। প্রথম থেকেই আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখা বাংলাদেশ দল প্রথম সাফল্য পায় ১৪ মিনিটে। লেফট উইং থেকে দুর্দান্তভাবে কাটানো বল জটলা পেরোয়, সেখান থেকে রাইট উইংয়ে পাওয়া বলে গোল করেন সিনহা জাহান শিখা। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কাছাকাছি সময়ে আরও একটি গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। লেফট উইং থেকে বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত ক্রসিংয়ে সুযোগ আসে, দুবারের প্রচেষ্টায় মোছাম্মৎ সাগরিকা গোল করেন। বিরতির আগে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলার বাঘিনীরা।
৪৩ মিনিটে নেপালের গোলের সুযোগ আসলেও গোলকিপার স্বর্ণা রাণীর দৃঢ়তায় কোন বিপদ হয়নি। উল্টো অফসাইড না হলে আরেকটি গোল দিয়ে ফেলেছিলেন সাগরিকা। পরে ওই ব্যবধান রেখে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির পর কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলে নেপালের খেলোয়াড় সিমরান রায়। ৫৪ মিনিটের সময় লেফট উইং থেকে সাগরিকার আক্রমণ ঠেকাতে না পেরে হাতাহাতি শুরু করেন সিমরান। সাগরিকাও ছেড়ে কথা বলার না, পরে দুই খেলোয়াড়কেই লাল কার্ড দেখান রেফারি।
সাগরিকার লাল কার্ডের পর অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারকে তুলে নেন কোচ পিটার জেমস বাটলার। এরপর দুই দলই বেশ কিছু আক্রমণ করলেও কোনো দলই জালের দেখা পায়নি। ৭৪ মিনিটে শিখা নেপালের গোলকিপারকে একা পেলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি।
৭৬ মিনিটের সময় পেনাল্টি পায় নেপাল। গোলকিপার স্বর্ণা রাণী মন্ডলকে একা পেলেও গোল করতে পারেনি নেপাল। বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করলেও পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, পেনাল্টি থেকে গোল করেন করেন আনিশা রায়।
৮২ মিনিটে প্রায় সমতায় এসেছিল নেপাল, মীনা দেউবার নেয়া শট লাগে বারে, গোলবঞ্চিত হয় দলটি। এরপর তৃষ্ণা রাণী বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। তবে ৮৬ মিনিটে সমতায় ফেরে নেপাল, গোল করেন ওই মীনা দেউবা। ২-২ সমতা আসে ম্যাচে। পরে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে শেষ হয় ম্যাচ।
রোমাঞ্চের বাকি তখনও। নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা হয় সাত মিনিট। ম্যাচের পাল্লা তখনও নেপালের দিকে। রেফারি শেষ মিনিটের বাঁশি বাজাবেন, ঠিক তখন উমেলা চাকমার রাইট উইং দিয়ে আক্রমণ। বল দেন ডি বক্সের মাঝে। সেখান থেকে গোল করেন তৃষ্ণা রাণী। ম্যাচের ব্যবধান ৩-২, পূর্ণ পয়েন্ট বাংলাদেশের।