শেষ ওভারের লড়াইয়ে তৃতীয় শিরোপা রিশাদ-সাকিবদের লাহোরের | চ্যানেল আই অনলাইন

শেষ ওভারের লড়াইয়ে তৃতীয় শিরোপা রিশাদ-সাকিবদের লাহোরের | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

১৯তম ওভারে লাহোর কালান্দার্সের ভাগ্যটা গড়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। ১৮ রান খরচ করে বসেন কোয়োটা গ্লাডিয়েটর্স পেসার। শেষ ওভারে জিততে লাহোরের দরকার ছিল ১৩ রান। ৫ বলেই ১৫ রান আদায় করেন সিকান্দার রাজা ও কুশল পেরেরা। তাতে পিএসএলে তৃতীয় শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে রিশাদ হোসেন-সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজদের লাহোর।

১৯তম ওভারে দুটি ওয়াইড দিয়ে বসেন আমির। পাশাপাশি পেরেরা দুটি চার ও একটি ছক্কায় ১৪ রান তোলেন। সবমিলিয়ে ১৮ রান তোলেন পেরেরা ও রাজা।

শেষ ওভারে প্রথম ডেলিভারিতে ওয়াইড দিয়ে বসেন ফাহিম আশরাফ। পরের বলে সিঙ্গেল নেন রাজা। দ্বিতীয় বলে পেরেরা দুই রান এবং তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে রাজাকে স্ট্রাইক দেন। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৮ রান। চতুর্থ বলে ফাহিমের অফস্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি ডিপ কাভার পয়েন্ট দিয়ে ছক্কা হাঁকান রাজা। পরের বলে ডিপমিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারি আদায় করে লাহোরের জয়ের নায়ক বনে যান জিম্বাবুয়ে অলরাউন্ডার। ১ বলে হাতে রেখে জিতে যায় লাহোর। ২০২২ এবং ২০২৩ মৌসুমের পর আবারও চ্যাম্পিয়ন হল লাহোর।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ফাইনালে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেয় কোয়েটা। নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ২০১ রানের সংগ্রহ গড়ে তারা। জবাবে নেমে ১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতে যায় লাহোর।

লাহোর ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেছেন কুশল পেরেরা। ৩১ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন লঙ্কান ব্যাটার। ২৭ বলে ৪৬ রান করেন মোহাম্মদ নাঈম। আবদুল্লাহ শফিক করেন ২৮ বলে ৪১ রান। আর জয়ের নায়ক সিকান্দার রাজা ৭ বলে ২২ রান করেন দুটি করে চার ও ছক্কায়।

কোয়েটার হয়ে একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির, ফাহিম আশরাফ, আবরার আহমেদ ও উসমান তারিক।

এর আগে কোয়েটার হয়ে দারুণ করেছেন হাসান নাওয়াজ। আটটি চার ও চারটি ছক্কায় ৪৩ বলে ৭৬ রান করেন এই ব্যাটার। পাঁচটি চারে ২২ বলে ২৯ রান করেন আভিস্কা ফের্নান্দো। শেষদিকে তাণ্ডব চালান ফাহিম আশরাফ। দুটি চার ও তিন ছক্কায় ৮ বলে ২৮ রান করেন এই অলরাউন্ডার। এছাড়া রিলি রুশো ১১ বলে ২২ রান এবং দিনেশ চান্দিমাল ১৩ বলে ২২ রান করেন।

লাহোর বোলাদের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদি ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নেন সালমান মির্জা ও হারিস রউফ। রিশাদ ও সিকান্দার রাজা নেন একটি করে উইকেট।

Scroll to Top