ক্লাব বিশ্বকাপে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ম্যাচের অধিকাংশ সময় লিড ধরে রেখেছিল উরওয়া রেড ডায়মন্ডস। শেষ দিকে দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছেন ইন্টার। লৌতারো মার্টিনেজের গোলে সমতায় ফেরার পর যোগ করা সময়ে ভ্যালেন্টান কার্বনির গোলে জয় পেয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাবটি। একইদিনে জয় পেয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও ফ্লুমিনেন্স। তবে মন্টেরের বিপক্ষে ড্র করেছে আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভার প্লেট।
সেঞ্চুরিলিংক ফিল্ডে ম্যাচের শুরুতেই লিড পায় রেড ডায়মন্ডস। ইন্টার জালে বল পাঠিয়ে জাপানের ক্লাবটিকে এগিয়ে নেন রায়োমা ওতানাবে। ৭৮ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল এশিয়ার দলটি। মার্টিনেজের গোলে সমতায় ফেরে ইন্টার। এরপর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে কার্বনি জয়সূচক গোলটি করেন। জয়ে এখনও রাউন্ড অব সিক্সটিনের দৌড়ে টিকে আছে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রানার্সআপ দলটি। দুই ম্যাচে একটি করে জয় এবং ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের দুইয়ে অবস্থান তাদের।
শীর্ষে আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভার প্লেট। ‘ই’ গ্রুপের অন্যম্যাচে মন্টেরের বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করেছে তারা। ইন্টারের সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে গ্রুপসেরার অবস্থানে তারা।
দিনের আরেক ম্যাচে উলসান এইচডিকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। ২৭ মিনিটে জন এরিয়াসের গোলে এগিয়ে যায় ফ্লুমিনেন্স। ৩৭ মিনিটে উলসানকে সমতায় ফেরান জিনইয়ুন লি। প্রথমার্ধের যোগ করা সাউথ কোরিয়ান ক্লাবটি লিড পায় উম উন-সাং এর গোলে। বিরতির এশিয়ান ক্লাবটিকে পাত্তাই দেয়নি ফ্লুমিনেন্স। ৬৬ মিনিটে নোনাতোর গোলে সমতায় ফেরে তারা। এরপর ৮৩ মিনিটে লিড এনে দেন হুয়ান ফ্রেটেস। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটের কেনো চতুর্থ গোলটি করেন। একটি করে ড্র ও জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ’এফ’ গ্রুপের শীর্ষে ফ্লুমিনেন্স।
সমান পয়েন্ট নিয়ে ’এফ’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। অন্যম্যাচে মামেলোদি সানডাউনসকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে জার্মান ক্লাবটি। ম্যাচের ১১ মিনিটে লিড পায় সাউথ আফ্রিকান ক্লাবটি। ডর্টমুন্ড জালে বল পাঠান লুকাস রিভেইরো কস্তা। মিনিট পাঁচেক পর ফেলিক্স নমেচা ডর্টমুন্টকে সমতায় ফেরান। ৩৪ মিনিটে জার্মান ক্লাবটিকে লিড এনে দেন সেরহো গুইরাসি। ৪৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জুবে বেলিংহ্যাম। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে ডর্টমুন্ড।
বিরতির পর নেমে ৫৯ মিনিটে নিজেদের জালে বল জড়ান সানডাউনস ডিফেন্ডার খুলিসো মুদাও। ৪-১ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে উঠে আফ্রিকান ক্লাবটি। ৬০ মিনিটে ইকরাম রায়ানর্সের গোলে ব্যবধান কমায় দলটি। ৯০ মিনিটে সানডাউনসের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন লেবো মোথিবা। শেষ অবধি ৪-৩ গোলে হার মেনে নিতে হয় তাদের।