এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
চা-বাগানের শহর শ্রীমঙ্গলে বেড়েছে শীত। গত কয়েকদিন সূর্যের দেখা মিলছেনা না প্রায়। কুয়াশায় ঢেকে আছে চারদিক। ছোট্ট শহরের পার্শ্ববতী চা-বাগান ও পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান জানান, আজ ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা নেমেছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তিনি জানান, এখন তাপমাত্রা কমছে, বাড়ছে কুয়াশা। চলতি মাসে শীতের মাত্রা আরও বাড়বে।
নিম্নবিত্ত আর চা-শ্রমিকদের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে শীতের কষ্ট। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের অসুখ-বিসুখ বেড়ে যাচ্ছে। রাজঘাট চা-বাগানের মেয়ে খেলা তাঁতী বলেন, অসুস্থ বাবা-মা আর বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। আমাদের কষ্টের দিন শুরু হইলো।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মো. নাজেম আল কোরেশী রাফাত বলেন, শীতকালে বেশ কিছু বাড়তি রোগ-ব্যাধি দেখা যায়। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই সময়টা বেশ জটিলতা তৈরি করে। সাধারণত শীতকালে ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশিসহ অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব একটু বেশি দেখা যায়। ভাইরাসজনিত রোগ শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেকগুণ।

তিনি বলেন, তাই শীতে শিশু ও বয়স্কদের যত্ন নিতে তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হয় বয়স্ক মানুষের কমন সমস্যা শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা বা শ্বাসনালীর প্রদাহ। যা ঠাণ্ডা আবহাওয়াতে বাড়তে পারে। এজন্য ঠাণ্ডা থেকে তাদের দূরে থাকতে হবে। শিশু ও বয়স্কদের প্রতি নজর রাখতে হবে এবং তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে।

শ্রমজীবী মানুষ, কৃষক আর দিন-শ্রমিকদের কাজে যেতেই হচ্ছে। ভাড়াউড়া বাগানের বাসিন্দা শ্রমিক আব্বাস মিয়া বলেন, আমাদের কষ্ট হয় ঠাণ্ডায় কাজ করতে, অভ্যাস হইয়া গেছে। তবে, এই শীতে-কুয়াশায় মানুষ বেড়াইতে আসে, ছবি তোলে তা দেখে আমরা খুশি। তারা তো আমাদের মেহমান।
এদিকে, আবহাওয়া বিভাগ আগামী ৭২ ঘণ্টা অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে। ৭২ ঘণ্টায় ও শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-উত্তর পূর্বাংশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।