২৫ শে বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এবার জাতীয়ভাবে উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। কবি গুরুর শিলাইদহ কুঠিবাড়ীতে তিন দিনব্যাপী রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসবের পাশাপাশি থাকছে গ্রামীণ মেলা।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এবং কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন-এর ব্যবস্থাপনায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বৃহস্পতিবার (৮ মে) থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। এবছর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’।
আগামী ২৫, ২৬, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (৮, ৯, ১০ মে) কুষ্টিয়ার শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ সিদ্দিক এবং স্মারক বক্তব্য প্রদান করবেন অধ্যাপক মনসুর মুসা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করবেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কুষ্টিয়া-এর ভাইস চ্যান্সেলর ড. নকীব মোহাম্মাদ নসরুল্লাহ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান।
আলোচনা পর্ব শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমবেত নৃত্য ‘আকাশ ভরা সূর্যতারা’ পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। ‘আনন্দ ধারা বহিছে ভূবনে’ ও ‘ভালোবেসে সখী’ গান দুটি পরিবেশন করবেন সুমা রানী রায়। এরপর একক সংগীত ‘আমি কোথায় পাবো তারে’ পরিবেশন করবেন বুলবুল ইসলাম। আবারো একক সংগীত ‘ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে’ পরিবেশন করবেন সুমা রানী রায় এবং ‘তুমি কেমন করে গান’ পরিবেশন করবেন বুলবুল ইসলাম। এরপর দ্বৈত সংগীত ‘বিশ্ব সাথে যোগে যেথায়’ পরিবেশন করবেন সুমা রানী রায় ও বুলবুল ইসলাম। সবশেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ পরিবেশন করবেন সমবেত নৃত্য ‘ঐ মহা মানব আসে’।
শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ‘আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান।
সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতে সমবেত নৃত্য ‘জগতে আনন্দযজ্ঞে’ পরিবেশন করবে নৃত্য সংগঠন ‘ভাবনা’, নৃত্য পরিচালনা করেছেন সামিনা হোসেন। সমবেত সংগীত ‘হে নূতন’ পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ ও নবীন কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ। ‘ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে’ গানটি পরিবেশন করবেন রাদিয়া লগ্না। এরপর সমবেত সংগীত ‘আমরা নতুন যৌবনের দূত’ ও ‘আনন্দ ধারা বহিছে ভূবনে’ পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ ও নবীন কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ পরিবেশন করবেন সমবেত নৃত্য ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। এরপর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ ও নবীন কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ পরিবেশন করবেন সমবেত সংগীত ‘ওরে ওরে ওরে আমার’ গানটি। ‘বিশ্ববীনা রবে’ গানটি পরিবেশন করবেন আশরাফ মাহমুদ। সামিনা হোসেন-এর পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘ভাবনা’ পরিবেশন করবে সমবেত নৃত্য ‘ধায় যেন মোর’। একক সংগীত ‘ঘরেতে ভ্রমর এলো’ পরিবেশন করবেন সঞ্চিতা রাখী। ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। এরপর সমবেত সংগীত ‘আজ দখিন দুয়ার খোলা’ পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ ও নবীন কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ এবং সমবেত নৃত্য ‘বিপুল তরঙ্গ’ পরিবেশন করবে নৃত্য সংগঠন ‘ভাবনা’, নৃত্য পরিচালনা করেছেন সামিনা হোসেন। একক সংগীত ‘তুমি কেমন করে গান করো’ পরিবেশন করবেন সায়মা শারমিন ইমা ও ‘মাথা নত করে’ গানটি পরিবেশন করবেন আহমেদ শাকিল হাসমী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ ও নবীন কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ সমবেত সংগীত ‘বিশ্ব সাথে যোগ’ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ সমবেত নৃত্য ‘ঐ মহামানব আসে’ পরিবেশন করবেন।