উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন মাসুকা বেগম নীপু আরও এক শিক্ষিকা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে তিনি মারা যান। অন্বয় আকিব নামে এক ব্যক্তি নিজের ফেসবুকে এক পোষ্টে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
অন্বয় আকিব তার পোষ্টে লিখেন, গতকাল মেহরিন মিস যা করেছেন, সেটার প্রশংসা বা কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্যে যত শব্দই খোঁজা হোক, শব্দের কমতি থেকেই যাবে। মেহরিন মিসের মতই আরো একজন ম্যাম শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন, যার কথা অনেকটা আড়ালেই থেকে গেল।
তিনি লিখেছেন, ম্যাম নিজের জীবনের তোয়াক্কা করেননি। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও একের পর এক শিক্ষার্থীকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়েছেন। তিনি চাইলেই নিজে নিরাপদে বের হয়ে যেতে পারতেন। লড়ে গেছেন আগুনের সঙ্গে, যেন তার বাচ্চাকাচ্চাদের কিছু না হয়। আগুন ধরে গিয়েছিল শরীরে, তবুও পিছু হটেননি। রক্তের না হোক, এরা তার আত্মার সম্পর্কের বাচ্চাকাচ্চাই ছিল। সেজন্যেই এভাবে আত্মত্যাগ করে গেলেন। তিনিই শিক্ষক, তিনিই মা।
‘যখন তার শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তারপরেই তিনি মাটিতে পড়ে যান। মহীয়সী এই নারী গতকাল রাতে মৃত্যুবরণ করেছেন। এমন মানুষ দুনিয়া থেকে একজন কমে যাওয়া মানে দুনিয়ার বিরাট ক্ষতি। উপরওয়ালা তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে আসীন করুন এই দোয়া করি।’
অন্বয় শেষে লিখেছেন, ম্যামের নাম মাসুকা বেগম নীপু। মেহরিন ম্যামের মতো তাকেও আমরা স্মরণে রাখি। তাদের দুজনের কারো অবদানই কম নয়, ভুলে যাওয়ার নয়। তারাই প্রকৃত বীর। দুই ম্যামের বীরত্বের সম্মানে একটা দিন থাকুক। শিক্ষা বিষয়ক কোনো পুরস্কার থাকুক। ম্যামদের হারিয়ে যেতে দিয়েন না।