বাবা শহিদুল ইসলাম পাঁচ বছর ধরে দেশের বাইরে থাকেন। মা বিলকিস বানু গৃহিণী। বেলায়েতরা তিন ভাই। ভাইদের মধ্যে তিনিই বড়। মেজ ভাই বায়েজিদ হোসেনও মেধাবী ছাত্র। তিনি নওগাঁ সরকারি কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট ইব্রাহিম হোসেন (১২) স্থানীয় একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।
বেলায়েতের মা বিলকিস বানু বলেন, ছোটবেলা থেকেই বেলায়েত মেধাবী ছাত্র ছিল। ২০১৩ সালে এসএসসি পাস করার পর ছেলে রাজশাহীতে ডিপ্লোমা করবে বলে জানাল। ছেলে বলল, ‘মা, আমি ডিপ্লোমাকে ভর্তি হলে চার বছরেই পড়াশোনা শেষ হয়ে যাবে। আমাকে শুধু আর চারটা বছর পড়ালেখার খরচ দাও। এরপর লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করে ছোট ভাইদের পড়াশোনার খরচ চালাব। সংসারেও সহযোগিতা করতে পারব।’ অতটুকু ছেলের কথা শুনে সেদিন তাঁর চোখে পানি চলে এসেছিল। কিন্তু আল্লাহ ওর কপালে হয়তো সুখ লিখে রাখেনি। ভালো ছেলেটা হঠাৎ করেই পাগল হয়ে গেল।
ছেলের কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিলকিস বানু। তিনি বলেন, ‘কত আদর-যত্নœকরেই না ছেলেটাক বড় করছি। তাঁকেই আজকে কষ্ট দিতে হচ্ছে। শিকলবন্দী করে বাড়িতে আটকায়ে রাখতে হয়। একজন মায়ের কাছে এটা যে কত কষ্টের, সেটা বলে বোঝাতে পারব না।’