দিনাজপুর শহরের পশ্চিম রামনগর এলাকায় ২০২০ সালে বিভিন্ন আকৃতি ও রঙের এই ড্রিমক্যাচার তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন শামীমা নাছরিন (৩২)। প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছেন ‘চতুর্ভুজ’। একটি ভবনের নিচতলায় আড়াই হাজার স্কয়ার ফুট মাপের বাসা ভাড়া নিয়ে চলছে চতুর্ভুজের কার্যক্রম। শুধু ড্রিমক্যাচারই নয়, কারখানায় তৈরি হচ্ছে দড়ি সুতার পর্দা, জায়নামাজ হ্যাঙ্গার, বুকশেলফ, ঝুড়ি, কলমদানি, চাবির রিং, ডোরবেল, আয়না, টেবিল ল্যাম্প, টেবিলমেট, কুশিকাঁটার ওয়ালমেট, কুশন কভার, ফ্লাওয়ার হ্যাঙ্গার, শতরঞ্জি, বিভিন্ন ধরনের শোপিসসহ শতাধিক পণ্য। এসব পণ্য তৈরি হচ্ছে মালাই কড, সামারিয়ান (একধরনের সুতা), উলের সুতা, দড়ি সুতা, মিল্ক বাটন, পুঁতি, রঙিন পালক, লোহা কিংবা বেতের রিং, কাঠ ও মজবুত আঠার সমন্বয়ে। প্রতি মাসে অনলাইন-অফলাইন দুই মাধ্যমে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে। যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে মাসে গড়ে ১৫-১৭ শতাংশ লাভ থাকে চতুর্ভুজের।
সম্প্রতি চতুর্ভুজের কারখানা ও অফিস ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সী ২১ জন নারী এসব পণ্য তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যাঁদের অধিকাংশই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। কেউ ফ্লোরে বসে ড্রিমক্যাচার বুনছেন, কেউ জানালার রেলিংয়ে সুতা আটকিয়ে গিঁট মেরে মেরে পর্দা তৈরি করছেন, কেউ–বা আঠা দিয়ে পালক লাগানোর কাজ করছেন। চতুর্ভুজের পরিচালক শামীমা নাছরিন ঘুরে ঘুরে দেখছেন, ভুল ধরিয়ে দিচ্ছেন। কখনো নিজে কুশিকাঁটা হাতে বসে কাজ করছেন। গ্রাহকের সঙ্গে পণ্য নিয়ে কথা বলছেন।