এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
চলতি বছর অর্থ্যাৎ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেল জাপানি সংস্থা নিহন হিডানকিও। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, নিহন হিডানকিও পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যর মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার যে মানবতাবিরোধী কাজ, তা তুলে ধরার জন্য এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
শুক্রবার ১১ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
হিবাকুশারা (হিরোশিমা এবং নাগাসাকি থেকে পারমাণবিক বোমা থেকে বেঁচে যাওয়াদের আন্দোলন) বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের কাছে পরমাণু বোমার ধ্বংসাত্মক পরিণতি এবং মানব জীবনে এর ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। তাদের সাহসী প্রচেষ্টা এবং অঙ্গীকারের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে নিহন হিডানকিও। সংস্থাটি বিশ্বাস করে, বিশ্বে আর কখনোই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হতে দেওয়া উচিত নয়।
এর আগে, ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মাদি । ইরানি নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রচারের জন্য তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার থেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা শুরু হয়। গত ৭ অক্টোবর এবছর নোবেল জয়ীদের নাম ঘোষণার প্রথম দিনেই চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চিকিৎসাশাস্ত্রে ২০২৪ সালে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন। মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার জন্য তারা এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
সুইডিস বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। তিনি ডাইনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।
আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার বিজয়ীরা একটি স্বর্ণপদক, প্রশংসাপত্র এবং বর্তমানে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার পান।