দিন দিন বেড়েই চলেছে কিডনীর সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা৷ শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গের সমস্যায় জর্জরিত বহু ব্যক্তি৷ দেহে ছাঁকনির কাজ করা কিডনির সুস্থ থাকা ভীষণ জরুরি৷ কীডনী কাজ করা বন্ধ করলে দেহের অন্যান্য অঙ্গগুলিও ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷
অনেক সময় দেখা যায় কিডনির সমস্যায় বহুদিন ধরে ভুগছেন কোনও রোগী, কিন্তু তিনি নিজেও বুঝে উঠতে পারেননি৷ তাই সমস্যা একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ধরা পড়ে৷ চাইলেও সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পথে বিরাট বাধা তৈরি হয়৷
তবে কিডনির সমস্যা থাকলে শরীরে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়৷ শরীরের অভ্যন্তরীণ বুদ্ধিমত্তা জানান দেয় সমস্যার শুরুর পর্যায়েই৷ অনেক সময় এই লক্ষণ গুলিকে আমরা সাধারণ ভেবে এড়িয়ে যাই৷ তাই এখন থেকেই জেনে নিন কিডনির সমস্যার লক্ষণ, যাতে ভবিষ্যতে বড় বিপদ এড়ানো যায়।
ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাই মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল এবং কিডনি বিশেষজ্ঞ ড: এন এস সেঙ্গার জানিয়েছেন যে কিডনির সমস্যায় শরীরে বেশ কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে৷ এই লক্ষণ গুলি ভাল করে চিনে নিলেই কিডনির সমস্যা ধরা পড়বে গোড়ার দিকে৷
অকারণে ক্লান্ত বোধ করা, সময়মতো খিদের অনুভব না হওয়া, রাতে না ঘুমানোর সমস্যাও হতে পারে কিডনির সমস্যার লক্ষণ৷
পাশাপাশি শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ সঙ্গে পা ফোলাভাব দেখা দেয়৷
হাড় দুর্বল হওয়া, পেশীতে ব্যথা অনুভব করা, প্রস্রাব তৈরির প্রক্রিয়ায় বাধা, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার মতো শারীরিক সমস্যাও হতে পারে কীডনীর সমস্যার লক্ষণ।
শরীরে ফোলাভাব, বিশেষ করে মুখের উপর ফোলাভাব, বমি বমি ভাব এমনকী বমি হতেও পারে৷ এই ১১ টি উপসর্গ উপেক্ষা করবেন না৷
ডাঃ সেঙ্গার জানালেন, কিডনির সমস্যার কারণে চোখের চারপাশেও ফোলাভাব দেখা দেয়। কিডনি যখন প্রোটিন সঞ্চয় করার পরিবর্তে নিঃসরণ শুরু করে, তখন এটি প্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর সঙ্গে শরীরে রক্তের অভাব দেখা দেয়। যার কারণে শরীর হলুদ দেখাতে শুরু করে। ডাঃ সেঙ্গার আরও জানালেন প্রতিটি ব্যক্তির অবশ্যই বছরে একবার কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত। যদি আপনার বয়স ৩০ বছরের বেশি হয় তবে এই পরীক্ষাটি প্রতি ৩ মাস অন্তর করা উচিত।
Published by:Ankita Tripathi
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kidney, Kidney Disease