শয্যা সংকটে শেরে বাংলা নগরের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট। জরুরি বিভাগে রোগী ভর্তি নিলেও, দিতে পারছে না সিট। অভিযোগ আছে, চিকিৎসার আর প্রয়োজন নেই, এমন অনেককেই ছাড়পত্র দিলেও, হাসপাতাল ছাড়ছেন না তারা। ফলে, অস্বস্তিতে আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঈদের দিন বাঁশ দিয়ে আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির চোখে আঘাত করে স্থানীয় একজন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় টাঙ্গাইল থেকে সকালে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে আসেন তিনি। অভিযোগ করেন, তাকে ভর্তি করা হলেও পাচ্ছেন না সিট।
জুলাই আহতদের মধ্যে যাদের আর হাসপাতালে থেকে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই, এমন ৩০ জনকে ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। কিন্তু, চক্ষু বিজ্ঞানের ৪ তলার বি-ব্লকের সিটে তারা অবস্থান করছেন। কর্তৃপক্ষ জানান, চাইলেও সেখানে অন্য সেবাপ্রার্থীকে সিট দিতে পারছে না তারা।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, বিভিন্ন ভাগে ও পর্যায়ে ফলো-আপের জন্য তারা পরামর্শ দিয়েছে। জুলাই আহতরা সাধারণ সিট দখল করে রাখলে অন্যান্য সাধারণ রোগীদের সিট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আহতদের বক্তব্য জানতে সেখানে গেলে দেখা যায় ভেতর থেকে তালা দেয়া। হাসপতাল থেকে জানা যায়, ৫৪ জনের মধ্যে ভেতরে আছেন ৪/৫ জন। বাকিরা ঈদে বাড়িতে গেছেন।
ডা. জানে আলম এও বলেন, তাদের দাবি হচ্ছে অনেক দূর থেকে চিকিৎসা নিতে আসতে হয় এবং অনেক রাতে চলে আসতে হয় দেখে থাকার কোন জায়গা নেই।
শয্যা সংকট এবং আহদের চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক বললেন, ঈদের ছুটি, তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে ভেতর থেকে বি ব্লক তালা দিয়ে রাখতে পারে আহতরা। ছুটির পর এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে বসবে মন্ত্রণালয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শনিবার পুরোদমে চালু হবে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট।
/এআই