শতবর্ষে পা দিল পাবনার সংস্কৃতিচর্চার বাতিঘর

শতবর্ষে পা দিল পাবনার সংস্কৃতিচর্চার বাতিঘর

এদিকে শতবর্ষ পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্র। অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে শত বছরের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, সুধী সমাবেশ, সুভ্যেনির প্রকাশ, নাটক, আবৃত্তি, নৃত্য ও সংগীত অনুষ্ঠান।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকাল ও পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, পাবনার জমিদার রায়বাহাদুর বনমালী রায়ের দুই ছেলে ক্ষীতিশ রায় ও রাধিকা রায় সংস্কৃতিমনা ছিলেন। তাঁরাই সংস্কৃতিচর্চার প্রসার ও প্রেরণা দিতে ১৯২৪ সালের ৫ মার্চ তাঁদের বাবার নামে প্রতিষ্ঠা করেন বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্র। ৩৯ শতাংশ জমির ওপর তৈরি হয় বিশাল মিলনায়তন। তখন এর নাম ছিল বনমালী রঙ্গমঞ্চ। পরে করা হয় বনমালী ইনস্টিটিউট। তখন থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বনমালী প্রযোজিত সীতা নাটকে অভিনয় করতে এসেছিলেন কলকাতার অভিনেতা ছবি বিশ্বাস, রবি রায় ও মমতা ব্যানার্জি। বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি সুচিত্রা সেন একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮৫ সালে বনমালীর উদ্যোগে ৩৩টি নাট্যসংগঠনে আন্তজেলা নাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিক মাজাহারুল ইসলাম, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, কবি বন্দে আলী মিয়া, সৈয়দ শামসুল হক, কবির চৌধুরী, কবি শামসুর রাহমান, নির্মলেন্দু গুণ, কামাল লোহানী, গীতিকার গৌরী প্রসন্ন মজুমদার, কবি সুফিয়া কামাল, হাসান আজিজুল হকসহ বহু গুণীজন এখানে এসেছেন। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ওস্তাদ বারীণ মজুমদার, ফেরদৌসী রহমান, তপন চৌধুরী, ডলি জহুর, হুমায়ুন ফরীদি, সুবর্ণা মুস্তাফা, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাইসুল ইসলাম আসাদ, আলী যাকের, রামেন্দু মজুমদার ও মামুনুর রশিদ।

Scroll to Top