লিভ ইন করতেন, সবাই বলত ‘দুজনকে একই রকম দেখতে’, ডিএনএ টেস্ট করাতেই মাথায় হাত দম্পতির

লিভ ইন করতেন, সবাই বলত ‘দুজনকে একই রকম দেখতে’, ডিএনএ টেস্ট করাতেই মাথায় হাত দম্পতির

Last Updated:

পাত্তা দিতেন না ওই দম্পতি। লোকে তো কত কথাই বলে। সব কিছুতে মাথা ঘামালে চলে !

ডিএনএ টেস্ট করাতেই মাথায় হাত দম্পতির (Photo: Canva)লিভ ইন করতেন, সবাই বলত ‘দুজনকে একই রকম দেখতে’, ডিএনএ টেস্ট করাতেই মাথায় হাত দম্পতির
ডিএনএ টেস্ট করাতেই মাথায় হাত দম্পতির (Photo: Canva)

বিয়ে করেননি। তবে লিভ ইন করেন তাঁরা। ৬ বছর একসঙ্গেই রয়েছেন। কিন্তু যখনই বাইরে বেরতেন সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখত। বাজারে, রেস্তোরাঁয় কিংবা শপিং মলে নিজেদের পরিচয় দিলেই, লোকজন অবাক হয়ে বলত, “বাবা, আপনাদের তো একই রকম দেখতে, যেন ভাইবোন।”

পাত্তা দিতেন না ওই দম্পতি। লোকে তো কত কথাই বলে। সব কিছুতে মাথা ঘামালে চলে! কিন্তু মনের কোথাও যেন ঘা মারত কথাগুলো। মুখে, চেহারায় এত মিল হয় কী করে! একদিন আর থাকতে না পেরে ডিএনএ টেস্ট করান তরুণী। আর তখনই জানতে পারেন আসল সত্য।

আরও পড়ুন– আচমকাই একে অপরের গলা টিপে ধরছে ছাত্রছাত্রীরা, তারপরেই অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে ! এ কোন ভূতুড়ে কাণ্ডে হচ্ছে স্কুলে…

বিয়ের রীতিনীতি একেক দেশে একেক রকম। তবে একটা জিনিস দুনিয়ার সর্বত্রই মেনে চলা হয়, সেটা হল, রক্তের সম্পর্কের মধ্যে যেন বিবাহ না হয়। হিন্দু ধর্মে আবার জাত-গোত্রও দেখা হয়। এখন এসব কমে এসেছে বটে, তবে রক্তের সম্পর্কে বিয়ে নৈব নৈব চ। এটা নিছক সংস্কার নয়, এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে।

মেডিক্যাল সায়েন্সও মনে করে, রক্তের সম্পর্কে বিয়ে ঠিক নয়। কারণ সন্তানের মধ্যে জিনগত ত্রুটি থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এহেন ক্ষতি আর কে চায়! তবে দম্পতি তাঁদের সম্পর্কের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না।

আরও পড়ুন– টাকা নিয়ে বৃদ্ধ পাত্রের সঙ্গে বিয়ের চেষ্টা, অসফল হওয়ায় মেয়েকে হত্যার হুমকি! পুলিশের দ্বারস্থ হলেন নববধূ

প্রথম আলাপেই দু’জনে একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন। শুধু ভালবাসা নয়, দু’জনের বোঝাপড়াও ছিল চমৎকার। এরপরই তাঁরা লিভ ইন করার সিদ্ধান্ত নেন। আরও কিছুদিন দেখে নিয়ে তারপর বিয়ে করা যাবে। কিন্তু গোল বাঁধল লোকজনের আচরণে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী ওই তরুণী। তিনি বাবা-মায়ের দত্তক সন্তান। বছর ছয়েক আগে এক তরুণের সঙ্গে আলাপ হয়। প্রথম আলাপেই প্রেম। তরুণও তাঁর বাবা-মায়ের দত্তক সন্তান। গোটা ব্যাপারটাই কাকতালীয়। দু’জনের মধ্যে যেন এক অদৃশ্য বন্ধন তৈরি হয়ে যায় তখনই।

দু’জনের চেহারায় অদ্ভুত মিল। মুখের ভাব, শরীরের গঠন যেন একরকম। এমনটাই বলত লোকে। এক পর্যায়ে তিতিবিরক্ত হয়ে ডিএনএ টেস্ট কিট কিনে এনে পরীক্ষা করেন তরুণী। কিন্তু রেজাল্ট দেখে মাথায় হাত। এতদিন যাঁর সঙ্গে লিভ ইন করছেন, তিনি আসলে তাঁরই ভাই। তরুণী জানিয়েছেন, অনেকেই তাঁদের ভাইবোন ভেবে ভুল করত। কিন্তু সত্যিই যে এমনটা হতে পারে তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি।

Scroll to Top