লিঙ্কে নয় এবার ভয় আধারে, কলকাতার ৩ বন্ধুর ঘটনা ভয়ঙ্কর! চলে গেল কত টাকা

#কলকাতা: নাগেরবাজারের বাসিন্দা তিন ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৫৬ হাজার টাকা। সুরজিৎ রুদ্র নামে এক ব্যক্তি চলতি মাসের পাঁচ তারিখ বিকেলে ম্যাসেজ পান দশ হাজার টাকা তোলা হয়েছে অ্যাকাউন্ট থেকে। আগাম বিপদ বুঝে অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নাগেরবাজার থানার দারস্থ হন সুরজিৎ। বিপদের আগাম সর্তকতার কথা অন্য দুই বন্ধুকে জানানো পরেও সতর্ক হননি অন্য দুই বন্ধু। তার মাশুল গুনতে হল কিছু দিন বাদেই

অভিযোগ, ১৩ নভেম্বর সকালে শ্যামল রাজবংশীর মোবাইলে ম্যাসেজ আসে দশ টাকা উঠেছে। বিষয়টি অদ্ভুত বুঝতে পেরেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস দেখে জানা যায় আগের দিন আরও দশ হাজার টাকা চলে গেছে। থানার দারস্থ হবার পাশাপাশি ব্যাঙ্কের কাছেও অভিযোগ জানান শ্যামল। শ্যামল রাজবংশীর কাছে  পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ব্যাঙ্ক থেকে এম আধার অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে ফিঙ্গার প্রিন্ট বন্ধ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়  শ্যামল রাজবংশীকে।

. .

আরও পড়ুন: ঐন্দ্রিলার জন্য পায়ে পড়ে অনুরোধ সৌরভের, ফেসবুকে দিলেন বহু প্রতীক্ষিত বার্তা

তাঁর বক্তব্য, ‘আমি কাউকে টাকা তুলতেও বলিনি তবে আগে সুরজিতের ঘটনা দেখে বিষয়টি আর অদ্ভুত লাগেনি।’ একই ঘটনা ঘটে ওই দিনই আরও এক বন্ধু রাজীব ভৌমিকের সঙ্গে। দুই বন্ধু টাকা উধাওয়ের খবর পেয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কৌতূহল নিয়ে গেলে জানতে পারেন ১২ তারিখ দুইবার দশ হাজার টাকা উধাও হয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকেও। রাজীব ভৌমিকের বক্তব্য, ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয় আধার নম্বর ও ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটছে। তবে এই ভাবে যে টাকা উধাও হতে পারে তা যথেষ্ট অবাক করেছে রাজীবকে। তার আরও বক্তব্য, ‘আমি ভয়ে লিঙ্কে ক্লিক করি না প্রতারিত হওয়ার ভয়ে, এবার তো কিছু না করেই টাকা গেল।’

আরও পড়ুন: রাতে অন্তত ১০ বার হার্ট অ্যাটাক, অত্যন্ত সংকটজনক পরিস্থিতি ঐন্দ্রিলার!

এই ঘটনার পরে সাইবার বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্তের বক্তব্য,  অকারণে বা খুব প্রয়োজন না হলে আধার কার্ড ব্যবহার না করাই ভাল, ব্যবহার করুন অন্য পরিচয়পত্র।  এখন আধার কার্ডের নম্বর পাওয়া অসম্ভব নয় আর তার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন কাজে যখন ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার হয় তখন সেটি কোনওভাবে তুলে নিলেই কেল্লাফতে। এই ঘটনাগুলো খুবই কম ঘটছে, তবে বেশিভাগ যারা জমি বা বাড়ি ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসায় যুক্ত তাঁদের ফিঙ্গার প্রিন্ট  জোগাড় করে প্রতারকরা এই কাজ করছে, আসলে তাঁদের বেশিরভাগ লোকই টার্গেট।

Published by:Raima Chakraborty

First published:

Tags: Bank Fraud Case, Kolkata News

Scroll to Top