কাগজে-কলমে বিশ্বকাপে থেকে ইংল্যান্ডের বিদায় নিশ্চিত না হলেও, সেমিতে খেলার সম্ভাবনা নির্ভর করছে যদি-কিন্তুর উপর। জস বাটলারদের তাই সেমিতে খেলার ভাবনার চেয়ে হয়তো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোয়ালিফাই করার দিকেই নজর বেশি। সেই লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোলিংটা মোটামুটি ভালোই করেছে ডেভিড উইলি-ক্রিস ওকসরা। প্যাট কামিন্সের দলকে ২৮৬ রানে আটকে দিয়েছে তারা। লড়াইটা এবার ব্যাটারদের, অস্ট্রলিয়াকে হারাতে হলে তো জ্বলে উঠতে হবে জনি বেয়ারস্টো-বেন স্টোকসদেরই।
এর আগে টসে জিতে অজিদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাটলার। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে বেশিক্ষণ সময় নেয়নি বোলাররা। দলীয় ৩৮ রানের মধ্যেই দুই অজি ওপেনারকে প্যাভিলিয়নে ফিরে দারুণ শুরু এনে দেন ওকস। এরপর স্টিভ স্মিথ ও মারনাস লাবুশেনের ব্যাটে ঘুঁরে দাড়ায় অস্ট্রেলিয়া। দুজনের জুটি থেকে আসে ৯৬ বলে ৭৫ রান।
দারুণ খেলতে থাকা স্মিথ ফিরেছেন ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে। ৫২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৪৪ রান করে আদিল রশিদের বলে মঈন আলীকে ক্যাচ দেন তিনি। তবে ফিফটির দেখা পেয়েছেন লাবুশেন। ৮৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যা অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান।
ক্যামেরন গ্রিন ও মার্কাস স্টয়ানিস ৫বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বড় সংগ্রহের আশা দেখাচ্ছিলেন। ফিফটি থেকে তিন রান দূরত্বে প্যাভিলিয়নে ফেরেন গ্রিন। স্টয়ানিসের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৩৫ রান। অ্যাডাম জাম্পা শেষ দিকে এসে খেলেছেন ১৯ বলে ২৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৯.৩ ওভারে ৫৪ রান খরচ করে ৪ উইকেট শিকার করেছেন ক্রিস ওকস। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আদিল রশিদ ও মার্ক উড। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন ডেভিড উইলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন।