লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ! গ্রেফতার করল পুলিশ, এই ব্যক্তি কে জানেন?

লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ! গ্রেফতার করল পুলিশ, এই ব্যক্তি কে জানেন?

Last Updated:

Jaigaon Development Authority: হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেন এই ইঞ্জিনিয়ার

অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার পার্থ সারথি দাসলক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ! গ্রেফতার করল পুলিশ, এই ব্যক্তি কে জানেন?
অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার পার্থ সারথি দাস

জয়গাঁ, আলিপুরদুয়ার, রাজকুমার কর্মকারঃ জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ২৮টি ফাইল লোপাটে অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারের শেষরক্ষা হল না। পার্থ সারথি দাসকে গ্রেফতার করল জয়গাঁ থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার জয়গাঁ থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত। এদিনই তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে পুলিশ। আদালত তাঁকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত এই ইঞ্জিনিয়ার প্রথমে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান। হাইকোর্টে তা নাকচ হয়ে যায়। এরপর সোজা সুপ্রিম কোর্টে যান তিনি। সেখানেও তাঁর আগাম জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ায় বৃহস্পতিবার জয়গাঁ থানায় আত্মসমর্পণ করেন।

জানা গিয়েছে, জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পার্থ সারথি দাস নিজের স্ত্রীর নামে ৫ লক্ষ মশারি কেনার বরাত দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, টেন্ডার না করেই কাজ করা, কাজ না করেই টাকা তুলে নেওয়া সহ নানান আর্থিক গরমিল ও তছরূপের অভিযোগ ওঠে আলিপুরদুয়ার শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুনঃ পারমিট নিয়ে ঝামেলা, চলছে না বাস! চরম হয়রানির মুখে নিত্যযাত্রীরা

২০২৪ সালে প্রথম এই অভিযোগ সামনে আনেন জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান গঙ্গা প্রসাদ শর্মা। ওই বছর ৬ সেপ্টেম্বর এই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। এরপর এই ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করে পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু সাসপেন্ডের পর নতুন দায়িত্ব প্রাপককে জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ২৮টি ফাইল তিনি বুঝিয়ে দেননি।

এরপর ৫ ডিসেম্বর জয়গাঁ থানায় এই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালতে মামলা করেন পার্থ সারথি দাস নিজে। কিন্তু শেষরক্ষা হয় না! গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্টে যান এই ইঞ্জিনিয়ার। সেখানেও জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ায় আত্মসমর্পণ করে গ্রেফতার হলেন তিনি।

Scroll to Top