রোহিঙ্গাদের যেভাবে মানববর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে মিয়ানমারের জান্তা

রোহিঙ্গাদের যেভাবে মানববর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে মিয়ানমারের জান্তা

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের একটি মুসলিম জাতিগোষ্ঠী। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা মাইনরিটি রাইটস গ্রুপের তথ্যমতে, মিয়ানমারে ১৩৫টি জাতিগোষ্ঠী আছে। দেশটিতে সাতটি জাতিগত সংখ্যালঘু রাজ্য আছে। এর মধ্যে বর্মিরা সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী জাতিগোষ্ঠী।

১৩৫টি জাতিগোষ্ঠীর এই তালিকায় রোহিঙ্গাদের নাম নেই। ১৯৮২ সাল থেকে মিয়ানমারে তারা নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত। প্রায় সব রোহিঙ্গাই মিয়ানমারের উপকূলীয় রাজ্য রাখাইনে বসবাস করে। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই এলাকা আরাকান নামে পরিচিত ছিল।

গত শতকের সত্তরের দশক থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে আসছে। আশা করা হচ্ছিল, গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি নির্বাচনে জয়লাভের ফলে রোহিঙ্গাদের ওপর জান্তা সরকারের বৈষম্য ও অন্যায্য আচরণের অবসান হবে। কিন্তু সু চি ক্ষমতায় এসে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে নীরব থাকেন।

২০১৭ সালে রাখাইনে সহিংস-রক্তক্ষয়ী সামরিক অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। এই অভিযানের মুখে ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। দমন-পীড়নকালে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, হত্যাকাণ্ড চালায় বলে অভিযোগ করেছে রোহিঙ্গারা।

এই ঘটনার জেরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করে গাম্বিয়া। এই মামলার বিচারকাজ চলছে।

Scroll to Top