টানা ৬ টি-টুয়েন্টিতে হারের পর সপ্তম ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৩ রানে জিতেছে টিম টাইগার্স। লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রানে জয়ের রেকর্ড এটি।
টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ৮৪ রানে। ২০২১ বিশ্বকাপে পাপুয়ানিউগিনিকে এই ব্যবধানে হারায় টিম টাইগার্স। লঙ্কানদের বিপক্ষে আগে সর্বোচ্চ ৪৫ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষদুটিতে হারের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে হারে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে হারের পর সংখ্যাটা দাঁড়ায় টানা ৬। ডাম্বুলায় অবশেষে জয় ধরা দিল টাইগারদের।
ডাম্বুলার রানগিরি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৭ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। জবাবে নেমে ১৫.২ ওভারে ৯৪ রানে লঙ্কানদের ইনিংস। তাতে ১-১ সমতায় ফেরে সিরিজ।
রানতাড়ায় নেমে টাইগার বোলাদের সামনে থিতু হতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটাররা। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় তারা। সর্বোচ্চ ৩২ রান এসেছে পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেছেন দাসুন শানাকা। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি।
টাইগার বোলারদের মধ্যে রিশাদ হোসেন ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন। শরিফুল ও সাইফউদ্দিন নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাটে নেমে উদ্বোধনী ওভারেই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ বলে নুয়ান থুসারার ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে রানের খাতা খোলার আগে সাঁজঘরে ফেরেন ইমন। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে লঙ্কানদের দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন বিনুরা ফের্নান্দো। তানজিদ তামিম ফেরেন ৭ রানে।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলে নেয় ৩৯ রান। লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয় ম্যাচের হাল ধরেন। ৫৫ বলে ৬৯ রানের জুটি করেন দুজন। ২৫ বলে ২ চার ও ১ ছয় খেলে ৩১ রান করে হৃদয় আউট হলে জুটি ভাঙে।
ক্রিজে এসে ব্যর্থ হন মেহেদী হাসান মিরাজ ২ বল খেলে ১ রানে ফেরেন। এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে নিয়ে ঝড় তোলেন লিটন। ৩৯ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ১৯তম ওভারে প্রথম বলে লিটন আউট হলে জুটি ভাঙে। তার আগে একটি চার ও ৫ ছক্কায় ৫০ বলে ৭৬ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
শেষ ওভারে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানআউট হয়ে ফেরেন জাকের আলি অনিক ও শামীম হোসেন। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ২৭ বলে ৪৮ রান করেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪ ওভারে ৩১ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন বিনুরা ফের্নান্দো। নুয়ান থুসারা ও মাহেশ থিকসানা নেন ১ টি করে উইকেট।