৫০-এ পা দিলেও গত কয়েক বছরে তার পোশাক থেকে বদলে যাওয়া চেহারা নিয়ে সমালোচনা যেমন হয়েছে, আলোচনাও কম হয়নি। কিন্তু, তাকে এড়িয়ে যাওয়ার সাধ্য নেই! কারণ ৫০-এও চোখধাঁধানো রূপ ঐশ্বরিয়া রাইয়ের।
বয়সজনিত মেদবাহুল্য তার আকর্ষণ কমাতে পারেনি। নীল চোখের চাহনি আর মন ভোলানো হাসি অনুরাগীদের এখনও মোহগ্রস্ত করে। যদিও সিনেমা করা এখন প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। মেয়ে আরাধ্য বচ্চনের দায়িত্ব সব সামলে রুপালি পর্দা থেকে দূরে। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে তার উজ্জ্বল উপস্থিতি রয়েছে।
গত বছর থেকে বচ্চন পরিবারের অন্দরের সমীকরণ নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। শোনা যায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চলেছেন ঐশ্বরিয়া-অভিষেক। পারিবারিক তিক্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও গত বছর শেষ হওয়ার আগেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন তারা। কিন্তু প্রকাশ্যে এ কী বললেন শ্বশুরমশাই অমিতাভ বচ্চন!
বর্তমানে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি ১৬’র সঞ্চালকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিযোগীরা আসেন এই রিয়্যালিটি শোয়ে। এমন এক পর্বে অমিতাভের মুখোমুখি হন ঐশ্বরিয়ার এক খুদে অনুরাগী।
তিনি হট সিটে অমিতাভের মুখোমুখি বসার পর থেকেই অভিনেতা পুত্রবধূর সৌন্দর্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিশোরী বলে, ‘ঐশ্বরিয়া রাই কী সুন্দর, তাই না! আপনি তো তার সঙ্গে থাকেন। সুন্দর হওয়ার কোনও টিপস দেবেন তার থেকে জেনে।’ তাতেই অমিতাভ বলেন, ‘আমরা জানি তিনি সুন্দরী। কিন্তু বাইরের সৌন্দর্য তো দু’দিনের। আজ আছে কাল নেই। তবে মনের সৌন্দর্য চিরদিন থেকে যায়।’
এক কিশোরীর প্রশ্নের উত্তরে এমন কথা বলায় শুরু হয়েছে অমিতাভকে নিয়ে আলোচনা। আসলে তিনি কী বলতে চাইলেন? শুধুই কি নাতনির বয়সি কিশোরীকে নীতিশিক্ষা দিলেন, না কি অন্য কিছু! এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দর্শকের মনে।