রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় বলে দিলেন লুকা মদ্রিচ। ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার জানিয়েছেন ক্লাব ছাড়ার কথা। আসন্ন ক্লাব বিশ্বকাপ খেলে লস ব্লাঙ্কোসদের সঙ্গে দীর্ঘ ১৩ বছরের পথচলার ইতি টানবেন ৩৯ বর্ষী তারকা।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা পোস্টে ক্লাব ছাড়ার কথা জানান মদ্রিচ। আগামী শনিবার লা লিগার শেষ রাউন্ডে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রিয় আঙিনায় এটাই হতে চলেছে মদ্রিচের শেষ ম্যাচ।
ক্রোয়েট তারকা বলেছেন, ‘সময় এসে গেছে। আমি কখনই চাইনি এমন মুহূর্ত আসুক, কিন্তু এটাই ফুটবল। জীবনে সবকিছুরই শুরু ও শেষ আছে, শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শেষ ম্যাচ খেলব আমি। ২০১২ সালে বিশ্বের সেরা দলের জার্সি গায়ে জড়ানো এবং বড় কিছু করার প্রত্যাশা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু পরিশেষে কী ঘটবে সেটা কল্পনা করিনি।’
রিয়াল পুরো জীবন বদলে দিয়েছে মদ্রিচের। ক্রোয়েশিয়ান তারকা বলেছেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার মাধ্যমে একজন ফুটবলার এবং একজন মানুষ হিসেবে আমার জীবন বদলে গেছে। ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা ক্লাবটির সফলতম যুগের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। হৃদয়ের গভীর থেকে ক্লাবটিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, আমার টিমমেট, কোচ এবং পুরো সময়ে আমার সহযোগী হওয়া সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য সুন্দর মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিল, যা আদতে অসম্ভব মনে হয়েছিল। ফাইনাল, উদযাপন এবং বার্নাব্যুতে জাদুকরী রাত, আমরা সবকিছু জিতেছি এবং এজন্য আমি অনেক অনেক বেশি খুশি।’
সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ভবিষ্যতে রিয়ালের সমর্থক হয়ে থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন মদ্রিচ, ‘প্রতিটি করতালি, প্রতিটি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, যা আপনারা আমাকে দিয়েছেন এসব কখনোই ভুলব না। আমি পূর্ণ হৃদয়ে বিদায় নিচ্ছি। গর্বে, কৃতজ্ঞতায় এবং ভুলে না যাওয়ার মতো স্মৃতিতে পরিপূর্ণ এক হৃদয় নিয়ে। যদিও ক্লাব বিশ্বকাপের পর আমি আর এই জার্সি গায়ে মাঠে নামব না, তবুও চিরকাল রিয়াল মাদ্রিদের একজন সমর্থক হয়ে থাকব। রিয়াল মাদ্রিদ চিরকাল আমার ঘর হয়ে থাকবে। সারাজীবনের জন্য। হালা মাদ্রিদ, আর কিছু নয়।’
২০১২ সালে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রিয়ালে নাম লেখান মদ্রিচ। মাদ্রিদ জার্সিতে ৫৯০ ম্যাচে ৪৩টি গোল করেছেন। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে রেকর্ড ৬টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৪টি লা লিগা, ৫টি ক্লাব বিশ্বকাপসহ মোট ২৮টি ট্রফি জিতেছেন। রিয়ালে থাকা অবস্থায় জেতেন সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত পুরস্কার- ২০১৮ সালের ব্যালন ডি’অর। একই বছরে ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ড, ২০১৭-১৮ মৌসুমে উয়েফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের খেতাবও পান তিনি।