দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড শেষে তাকে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই খালেক মিয়া।
তিনি জানান, সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী বাতিল মামলার রায়সহ বেআইনি রায় প্রদান বিষয়ে খায়রুল হকের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩০ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহ তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করা হয় গত ২৪ জুলাই সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে। ওই দিনই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী থানায় কিশোর আব্দুল কাইয়ূম আহাদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্যাহ।
শাহবাগ থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও অবসরের পর পদায়নের লোভে বিচারপতি খায়রুল হক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দুর্নীতির আশ্রয় নেন।
তিনি ২০১১ সালের ১০ মে আপিল মামলার সংক্ষিপ্ত আদেশ পরিবর্তন করে বেআইনিভাবে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন।
এতে বলা হয়, তার এই কর্মকাণ্ডে শেখ হাসিনাকে খুশি করার অভিপ্রায় স্পষ্ট। মামলাটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম। গত বছরের ২৭ আগস্ট শাহবাগ থানায় তিনি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।