রাষ্ট্রীয় অর্থে পতিতাবৃত্তির পৃষ্ঠপোষকতা! উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

রাষ্ট্রীয় অর্থে পতিতাবৃত্তির পৃষ্ঠপোষকতা! উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

জুমবাংলা ডেস্ক : সম্প্রতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে পতিতাদের ‘মর্যাদা ও স্বীকৃতিস্বরূপ’ ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। যৌনকর্মী ও সমকামী ট্রান্সজেন্ডারদের পক্ষে কাজ করা ‘নারীপক্ষ’ নামে একটি বিতর্কিত এনজিও সংস্থার হাতে এই আর্থিক প্রণোদনা তুলে দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে লিখিত বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম।

রাষ্ট্রীয় অর্থে পতিতাবৃত্তির পৃষ্ঠপোষকতা! উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিরাষ্ট্রীয় অর্থে পতিতাবৃত্তির পৃষ্ঠপোষকতা! উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

সোমবার (১৪ জুলাই) গণমাধ্যমে লিখিত বিবৃতি প্রেরণ করেন সংগঠনটির যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও আল্লামা সাজেদুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পতিতাদের উপযুক্ত পুনর্বাসনের পরিবর্তে তাদের নিছক খুশি করতে রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা প্রদান বাংলাদেশের আবহমানকালের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের অংশ। তাছাড়া পতিতাবৃত্তির নেপথ্যে অবাধ নারী-শিশু পাচার, কর্মসংস্থানের অভাব, নৈতিক অবক্ষয় ও আর্থ-সামাজিক সঙ্কটগুলো মূল কারণ। ফলে তাদের পুনর্বাসন ব্যতীত এ ধরনের প্রণোদনা বিদ্যমান সঙ্কটগুলোকে আরো ঘনীভূত করবে। আর পতিতাবৃত্তিকে স্বীকৃতি দেয়ার মানে নারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘যৌনপণ্য’ বা ‘যৌনদাস’-এ পরিণত করার শামিল। পতিতাবৃত্তি কোনো নারীর জন্য সম্মানজনক ও মানবিক ঘটনা নয়। এটি রাষ্ট্রের ব্যর্থতার ফসল হিসেবে তাদের আর্থ-সামাজিক দুর্ভাগ্য মাত্র।

তারা আরো বলেন, আমরা মনে করি, এদেশের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে গিয়ে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা ও এনজিওকর্মী শারমিন মুরশিদ পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছেন। হাজার হাজার মাদরাসার বিরুদ্ধে ঢালাও অপপ্রচার চালিয়েছেন। তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়নি। দেড় সহস্রাধিক শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি এদেশের আলেমসমাজ ও ধর্মপ্রাণ জনগণ মেনে নেবেন না।

হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, ইউনূস সরকারের উচিত এনজিও-ফাঁদ থেকে বের হয়ে রাষ্ট্রকে আরো শক্তিশালী ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। জনগণের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ, মানবিক অধিকার রক্ষা ও সামাজিক সমস্যা নিরসনের মূল দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হয় সরকারকে। এতে সরকার ব্যর্থ হলেই এনজিও-ব্যবসা রমরমা হয়ে ওঠে। উন্নত শোষক পশ্চিমা দেশগুলো একদিকে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে দিতে চায় না; তাদের ওপর সবসময় নির্ভরশীল করে রাখতে চায়। আবার অন্যদিকে এনজিওর মাধ্যমে সেসব দেশে ফান্ড দিয়ে ত্রাতা সেজে তাদের নানা এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। ফলে সমস্যা আর সঙ্কটের অবসান কখনো ঘটে না। এটাও তাদের এক ধরনের উপনিবেশিক ফাঁদ। এতে বড়জোর কিছু এলিট নারীবাদী ও এনজিও সুশীলদের আর্থিক সুবিধা ঘটে।

Scroll to Top