রাতেই জানাজা খালিদের, দাফন পারিবারিক কবরস্থানে

রাতেই জানাজা খালিদের, দাফন পারিবারিক কবরস্থানে

রাতেই জানাজা খালিদের, দাফন পারিবারিক কবরস্থানে

ঢাকা: ‘নাতি খাতি বেলা গেল’, ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘হয়নি যাবার বেলা’, ‘যতটা মেঘ হলে’, ‘আকাশনীলা তুমি বলো কীভাবে’র মতো অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দেওয়া কণ্ঠশিল্পী খালিদ পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠ জনদের মাধ্যমে জানা গেছে, রাতেই রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে জানাজার পর গোপালগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে তার মরদেহ।

সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খালিদ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তাকে গ্রিন রোডের কমফোর্ট কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খালিদের ঘনিষ্ঠজন বর্ষীয়ান শব্দ প্রকৌশলী ঈশা খান দূরে জানিয়েছেন, আজ সোমবার রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা হবে। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গোপালগঞ্জে, গ্রামের বাড়িতে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে শিল্পীকে সমাহিত করা হবে।

আরও পড়ুন- ‘ফেরানো গেল না তাকে’

১৯৮৩ সালে প্রধান ভোকাল হিসেবে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন খালিদ। একই নামে প্রথম অ্যালবামেই শ্রোতাপ্রিয় হয়ে ওঠেন ‘চাচির দুঃখ (নাতি খাতি বেলা গেল)’, ‘বেকারত্ব’, ‘অনুভূতি’ গানগুলো দিয়ে। পরে বহু ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে গেলেও চাইম ব্যান্ডের নারী, জন্ম ও কীর্তনখোলা অ্যালবামগুলোও জনপ্রিয় হয়।

ব্যান্ড অ্যালবামের বাইরে খালিদ বিশেষ করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন মিক্সড অ্যালবামগুলোতে তার গান দিয়ে। ‘নীরা ক্ষমা করো আমাকে’, ‘আবার দেখা হবে এখনই শেষ দেখা নয়’, ‘আকাশনীলা তুমি বলো কীভাবে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবার বেলা’, ‘কিছু না নিয়ে’, ‘মনে পড়ে না আবার মনে পড়ে’, ‘সরলতার প্রতিমা’ গানগুলো খালিদকে অসামান্য জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এই শতকেও ‘যদি হিমালয় হয়ে’ গান দিয়ে ফের দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরেই খালিদ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে মাঝে মাঝে আসতেন দেশে। অনেক দিন হলো তার নতুন কোনো গান না এলেও মাঝে মাঝে দেশে বা দেশের বাইরে কনসার্টে শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখতেন।

The post রাতেই জানাজা খালিদের, দাফন পারিবারিক কবরস্থানে appeared first on Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment.

Scroll to Top