এদিকে সভা করতে না পেরে হেযবুত তওহীদের রাজশাহী জেলা কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলার সভাপতি আরিফুজ্জামান গালিব। হেযবুত তওহীদকে একটি আইন মান্যকারী অরাজনৈতিক আন্দোলন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজশাহীতে সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের নিয়ে একটি মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু শান্তিপূর্ণ এ আয়োজন বন্ধে চিহ্নিত একটি মহল আদাজল খেয়ে নামে। অনুষ্ঠান বানচাল করতে হেফাজত ইসলামের ব্যানারেও নানা অপতৎপরতা দেখা যায়। ষড়যন্ত্রকারীরা জুমার দিনে পরিকল্পিতভাবে মসজিদে মসজিদে উসকানিমূলক মিথ্যা প্রচারণা চালায়। স্মারকলিপি দিয়ে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এ অবস্থায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে প্রশাসনের অনুরোধে তাঁরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করতে বাধ্য হন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম স্বাধীনতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে একজন আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে আমার কথা বলার অধিকার, সংগঠন করার অধিকার, আদর্শ প্রচার করার অধিকার, সভা-সমাবেশ করার অধিকার আইনসম্মত। এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা চরম বৈষম্যের প্রমাণ এবং স্পষ্টত মানবাধিকার লঙ্ঘন। উসকানিদাতাদের সুনির্দিষ্ট নাম, ঠিকানা উল্লেখ করে তথ্যপ্রমাণসহ আমরা মতিহার থানায় একটি জিডি করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মশিউর রহমান ও সহসভাপতি আশেক মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, একই স্থানে দুই সংগঠনের নেতা–কর্মীদের অবস্থানের কারণে উত্তেজনা ছিল। পুলিশও সতর্ক ছিল। তাই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হেযবুত তওহীদ তাদের অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে।