জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘কোনো সরকারি দপ্তর নোটিশ ছাড়া এভাবে কাউকে বাসাছাড়া করতে পারে না। আমরাও তা করিনি।’ বাড়ি ভাঙার আগে কাউকে জানানো হয়নি—এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সবাইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আরও কিছু জানার প্রয়োজন থাকলে তার দপ্তরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
তবে কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়েই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করা হয় বলে অভিযোগ করেন দিলারা হাফিজ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৬ সালে রফিক আজাদ মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে এ ভবনটি সংরক্ষণের জন্য সরকারের কাছে বারবার চিঠি দিয়েছি। সর্বশেষ ১১ এপ্রিল গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমানের সঙ্গেও দেখা করেছি। তিনি আমাদের বলেন, এটা আইনের বিষয়, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে।’
দিলারা হাফিজ আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিত্যক্ত বাড়িটি আমাকে বসবাসের জন্য দিয়েছিল সরকার। এর পর থেকে আমরা এই বাড়িতে বসবাস করি। কবি রফিক আজাদের অধিকাংশ কবিতা এই ভবনে বসে লেখা৷’
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, পরিত্যক্ত ওই প্লটের জায়গায় ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। বাড়ি ভাঙার পর সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।