রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি, দলকে নষ্ট করতে চাওয়া, দলের বিভাজন করে দলের শক্তি খর্ব করা মোটেই কাম্য নয়। মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি নিজের ভুল স্বীকার করলে দলের চেয়ারম্যান তাকে কাছে টেনে নেবে বলে আশা করছি।
বুধবার রাতে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয় মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নিয়ে এক আলোচনা সভা তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের রাজপথের সহযাত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা রংপুরের মাটিতে জিএম কাদেরকে নামতে দেবেন না বলেছেন। আমরা বলতে চাই, রংপুরের মাটি কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয় কিংবা কাউকে লীজ দেয়া হয়নি। দলের চেয়ারম্যান চাইলে রংপুরে আসতে পারবেন, আমরা দলের নেতাকর্মীরা থাকতে তাকে কেউ বাধা দিতে পারবে না।
মেয়র বলেন, মসিউর রহমান রাঙ্গাকে দল থেকে অব্যহতি দেয়ার পর একটি ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। দলের চেয়ারম্যান যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। বিগত সময়ে বিরোধী দলীয় নেতা হওয়ার জন্য জিএম কাদেরকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সিনিয়র নেতা রওশন এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতা করেছেন। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে না জানিয়ে ২৪ জন এমপি সাক্ষর করে সংসদীয় কমিটির কাছে জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা হওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন। এখন ওই চিঠিতে সাক্ষর করা মসিউর রহমান রাঙ্গা বলছেন তারা নাকি জোর করে সাক্ষর নিয়েছেন। যা একটি হাস্যকর কথা।
মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এসএম ইয়াসির আহমেদ বলেন, রাঙ্গা ভাই আমাদের বড় ভাই। তিনি দলের চেয়ারম্যানকে রংপুরে ঢুকতে দেবেন না বলে মন্তব্য করা ঠিক করেননি। যেকোন মানুষ যেকোন জায়গায় যেতে পারে। এটি তার সাংবিধানিক অধিকার। যদি তাকে রংপুরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয় তবে চেয়ারম্যানকে পার্টির লোকজন নিরাপত্তা দেবে, এরপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তো আছেই।
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিগত সময়ে বিভিন্ন নেতাকে দল থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। অব্যহতি মানে দল থেকে বহিষ্কার নয়। রংপুরের জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। আশা করছি দলের চেয়ারম্যান ও রাঙ্গা ভাইয়ের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং দলে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এ সময় জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।