রংপুরকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেয়া সোহানের দুই বছর আগের আক্ষেপ | চ্যানেল আই অনলাইন

রংপুরকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেয়া সোহানের দুই বছর আগের আক্ষেপ | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

সিলেট থেকে: ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। জয়ের জন্য শেষ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ২৬ রান। কাইল মেয়ার্সের ওভারটিতে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩০ রান তুলে দলকে জয়ের বন্দরে নেন। ৭ বলে ৩২ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসের পরও আক্ষেপে পুড়ছেন অধিনায়ক। সেটি অবশ্য ২০২২ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশকে জয় এনে দিতে না পারায়।

অ্যাডিলেডে সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ১৬ ওভারে ১৫১ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল। শেষ ওভারে ২০ রান প্রয়োজন ছিল। সোহান ১৫ রান তোলেন। শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে পারলে ফলাফল বাংলাদেশের পক্ষে থাকত। পারেননি এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। বাংলাদেশ হেরে যায় ৫ রানে। সিলেটে বরিশালের বিপক্ষে জয়ের পর সেই স্মৃতি স্মরণ করেছেন সোহান।

‘এই ম্যাচটা জেতার পরে মনে হচ্ছিল, লাস্ট টি-টুয়েন্টিতে আমরা যেটা খেলেছিলাম ভারতের সাথে বিশ্বকাপের ম্যাচ ছিল, এক ওভারে হয়তো ২০ রান দরকার ছিল, মনে হয় ১৫ বা ১৬ রান করেছিলাম। শেষ বলে ছয় হলে হয়তো ম্যাচটা জিততাম। যেকোনো কারণে ছয় হয় নাই, ম্যাচটা ৫ রানে হেরেছিলাম। এটা আমার কাছে একটা জিনিস সবসময় মনে থাকে যে, বিশ্বকাপের মতো এরকম সময়ে ম্যাচটা, যদিও ২০ রান লাগতো, ২০ রান অনেক রান, কিন্তু তারপরও অনেক ক্লোজ গিয়েছিলাম। যদি শেষ করতে পারতাম ভালো লাগতো।’

দেশের জার্সিতে না পারলেও রংপুরকে জয় এনে দিতে পারায় খুশি সোহান। বলেছেন, ‘যেটা বললাম, সম্মান দেয়ার মালিক আল্লাহ। আর অবশ্যই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি টিমের জন্য ভালো ব্যাট করতে পারছি।’

GOVT

শেষ ওভারে ২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে তা আদায় করা যেকোনো ব্যাটারের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। সোহান সেটা করেছেন, জানালেন আত্মবিশ্বাস কোথায় পেয়েছেন সেটাও। ক্রিজে সঙ্গীর সাথে কথা বলে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছেন তিনি।

“আগের ওভারে যখন নেমেছিলাম, খুশদিল দুটি ছয় মেরেছিল। বলেছিল, ‘এই ম্যাচ জেতা সম্ভব।’ রাব্বি যখন আসলো, শেষ ওভারে ২৬ রান লাগবে, রাব্বি ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম। তখন রাব্বি ভাই বলেছিল, ‘তুমিই খেলো ছয়টা বল তুমি যদি, আমার কাছে মনে হয় ইনশাআল্লাহ ভালো শেফে থাকলে মারতে পারলে হয়ে যাবে।’ তখনই আসলে জিনিসটা আমাদের কমিউনিকেশনের মাধ্যমে হয়েছে। তারপর দেখেন প্রথম বল ছয় হয়েছে, তখন আস্তে আস্তে আত্মবিশ্বাসটা আরও বেড়েছে যে সম্ভব।”

শেষ বলে রংপুরের দরকার ছিল ২ রান। ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছান সোহান। বললেন, শেষ বলে বাউন্ডারি মারার চিন্তাই করেছিলেন। রংপুর অধিনায়ক বললেন, ‘বড় শটের পরিকল্পনা ছিল. অবশ্যই আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে, যেটা হবে ওটাই চাচ্ছিলাম যে এক-দুই ওরকম কিছু না। যদি আমার জোনে পাই ওভার বাউন্ডারি মারবো বা বাউন্ডারি হোক এই অপশনে যাচ্ছিলাম।’

সোহান নিচের দিকেই ব্যাট করে থাকেন। খুব বড় ইনিংস খেলার সুযোগ পান না। তবে কার্যকরী ইনিংস খেলতে দেখা যায়। খুব বড় ইনিংস না খেলাতে হয়তো তার অবদান সবার মনে থাকে না। সোহান নিজেও সেটা জানেন। রংপুরের জন্য খেলা ইনিংসটি তার ক্যারিয়ারসেরার মধ্যে একটি বললেন।

‘দেখেন, যেখানে ব্যাটিং করি সবাই ভুলে যায়, এটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু হ্যাঁ, অবশ্যই সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা টিমের জন্য অবদান রাখতে পারছি, এটা আলহামদুলিল্লাহ। যেহেতু টিমকে জেতাতে পেরেছি, এটা সেরা ইনিংসের একটি।’

Shoroter Joba

Scroll to Top