বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন যেন বিগ ব্যাশের দলগুলোর নতুন পছন্দের নাম। গত মৌসুমে প্রথমবারের মতো ড্রাফটে সুযোগ পেয়েই জায়গা করে নিয়েছিলেন হোবার্ট হ্যারিকেনস দলে, যদিও বিসিবির অনাপত্তিপত্র (এনওসি) না পাওয়ায় খেলা হয়নি। এবারও ড্রাফটে দল পেয়েছেন, এবং আগের মতোই আবারও আস্থা রেখেছে হোবার্ট। প্রশ্ন উঠছে—বিগ ব্যাশে রিশাদের এই ক্রমবর্ধমান চাহিদার পেছনের কারণ কী?
রিশাদকে দলে ভেড়ানোর কারণ নিয়ে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায় হোবার্ট হ্যারিকেনস অধিনায়ক নাথান এলিসের কথায়। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, দলের লক্ষ্য মাঝের ওভারগুলোতে বেশি উইকেট নেওয়া। সেই চাহিদা পূরণেই দলে নেওয়া হয়েছে রিশাদকে। একই কারণে ইংলিশ লেগ স্পিনার রেহান আহমেদকেও দলে টেনেছে হোবার্ট।
এলিস কী বলেছেন শুনুন তার মুখেই, ‘রিশাদ ও রেহানকে নিয়েছি, কারণ মাঝের ওভারে আমাদের উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য বাড়াতে চেয়েছি। আমরা রিশাদকে গত বছর নিতে চেয়েছিলাম, এবারও নিতে পেরেছি। ওকে দলে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ও ইতিমধ্যে সম্ভাবনাময় এক লেগ স্পিনার হিসেবে ঝলক দেখিয়েছে।’
বিগ ব্যাশের পডকাস্টে দলগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়ানরা যে রিশাদকে কতটা ভালো মানের বোলার বিবেচনা করে, তা বোঝা যাবে তার কথাতেই। সেখানে রিশাদের বোলিং নিয়ে ফিঞ্চ বলেছেন এভাবে, ‘রিশাদ দারুণ একজন বাংলাদেশি লেগ স্পিনার। আধুনিক লেগ স্পিনারদের চেয়ে সে একটু অন্য রকম। সে হাওয়ায় ভাসিয়ে বোলিং করতে পছন্দ করে। চাপে থাকলে বলের গতি কমায়। রশিদ খানের কথা যদি ধরি, জোরের ওপর স্টাম্পে বোলিং করে। রিশাদ ভিন্ন। ও বল হাওয়ায় ভাসাবে, দারুণ গুগলি আছে, গতির ব্যবহার করে।’
ফিঞ্চ রিশাদের বোলিংকে নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ সোধির সঙ্গে তুলনা করেছেন, ‘আমি যাদের বোলিং করতে দেখেছি, তাদের কারও সঙ্গে যদি রিশাদের বোলিং তুলনা করতে চাই তাহলে ওকে নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধির সঙ্গে তুলনা করব। রশিদ খানের কথা যদি ধরি, জোরের ওপর স্টাম্পে বোলিং করে। রিশাদ ভিন্ন। ও বল হাওয়ায় ভাসাবে, দারুণ গুগলি আছে, গতির ব্যবহার করে। দারুণ একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কাটিয়েছে রিশাদ। অসাধারণ একজন বোলার। রিকি পন্টিংও রিশাদ সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলেন।’
পন্টিং যাকে ভালো বলেন, তিনি নিশ্চয়ই খারাপ নন! রিশাদ সম্প্রতি পিএসএলেও খেলেছেন। লাহোরকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন এই লেগ স্পিনার। ৭ ম্যাচে নিয়েছেন ১৩ উইকেট।