হারদোইয়ের যুগ্ম ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পরিচয় দিয়ে মহিলা আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সে। তদন্ত থেকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, অভিযুক্ত ভুয়ো নিয়োগপত্র, প্যান কার্ড এবং ব্যাঙ্ক পাসবুক তৈরি করিয়েছিল।
গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি এক মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্ত। নয়া নিযুক্তি এব বেতন না মেলার অজুহাত দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নগদ নেয়। সেই সঙ্গে ১.২৩ লক্ষ টাকা অনলাইন ট্রান্সফারও করিয়ে নেয়। এরপরে হরদোই থেকে কাশগঞ্জে বদলি হওয়ার মিথ্যা গল্প ফেঁদেছিল অভিযুক্ত।
অভিযুক্তের নাম হরিকেশ পাণ্ডে। সে প্রতাপগড় জেলার ভগবানপুর মুফারিদ গ্রামের বাসিন্দা। আইএএস অফিসার সেজে এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলা আধিকারিকদের প্রতারণা করে গিয়েছে সে। পুলিশের দাবি, শাদি ডট কমে অভিযুক্ত একটি ফেক প্রোফাইল তৈরি করেছিল। হরিকেশ দাবি করেছিল যে, সে হরদোইয়ের যুগ্ম ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করে। এমনকী উন্নাওয়ে কর্মরত এক মহিলা অফিসারকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করেছিল সে।
বেতন না পাওয়ার প্রসঙ্গে হরিকেশ ১ লক্ষ টাকা নগদ এবং অনলাইন ট্রান্সফারের মাধ্যমে ১,২৩,২৫৩ টাকা নিয়েছিল। এর কিছু সময় পরে অভিযুক্ত ওই মহিলা অফিসারকে জানায় যে, হরদোই থেকে কাশগঞ্জে তার বদলি হয়েছে। এতে সন্দেহ গাঢ় হয় মহিলা অফিসারের। তদন্ত করে দেখার সময় তিনি জানতে পারেন যে, হরদোইয়ে ওই নামে কোনও যুগ্ম ম্যাজিস্ট্রেট নেই। এরপরেই সাইবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তদন্ত চলাকালীন পুলিশ জানতে পারে যে, একই ভাবে ওই অভিযুক্ত লখনউয়ের আর এক মহিলা অফিসারকেও ঠকিয়েছিল। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। আইএএস নিয়োগের ভুয়ো চিঠি, প্যান কার্ড, পাসবুক এবং ডিএম হরদোইয়ের সঙ্গে এডিটেড ছবি তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
এসপি নীরজ কুমার জাদৌনের বক্তব্য, পাশের জেলার এক মহিলা অফিসারকেও শিকার বানিয়েছিল অভিযুক্ত। আবার লখনউয়ে পোস্টিং থাকা এক মহিলা অফিসারকেও প্রতারণা করেছিল। মহিলা অফিসাররেরা তাঁদের টাকা ফেরত চাওয়ায় অভিযুক্ত তাঁদের খুনের হুমকি দেয়। বিষয়টিও জানাজানি হয়। অভিযুক্তের করা অন্যান্য অপরাধ আপাতত খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অভিযুক্ত হরিকেশ বলে যে, “এই সময় আমার ছোট ভাই অসুস্থ। এই পরিস্থিতিতে একজন আইএএস অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে আমি ওই মহিলা অফিসারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। আমি ধার হিসেবেই নিয়েছিলাম। আমি ১.৫২ লক্ষ টাকা নিয়েছি। আমি ওই মহিলাকে বলেছি যে, আমি যুগ্ম ম্যাজিস্ট্রেট। এটাও বলেছিলাম যে, আমি ওই টাকা ফিরিয়ে দেব।”
এসপি নীরজ কুমার জাদৌন বলেন যে, ওই মহিলা আইএএস অফিসার এই প্রতারণা সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সাইবার থানায় মামলা হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে হরিকেশ পাণ্ডেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে একটি ভুয়ো আইডি বানিয়েছিল। অভিযুক্ত নিজেকে যুগ্ম ম্যাজিস্ট্রেট বলে পরিচয় দিত। অভিযুক্ত ওই মহিলা অফিসারকে ২.১০ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছে। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত লখনউয়ের এক মহিলা অফিসারকেও ঠকিয়েছে।
Hardoi,Uttar Pradesh
February 08, 2025 8:24 AM IST
যুবকের প্রেমে পড়েছিলেন দুই মহিলা IAS, বিশেষ উপায়ে সে জিতেছিল মন, কিন্তু সত্যিটা জানতে পেরে পায়ের তলার জমি সরে গেল মহিলা অফিসারদের !