যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঝামেলা এড়াতে মোদি-ট্রাম্প ঘনিষ্ঠতার দিকে তাকিয়ে ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঝামেলা এড়াতে মোদি-ট্রাম্প ঘনিষ্ঠতার দিকে তাকিয়ে ভারত

বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ এটা মনে করেন যে ওয়াশিংটনে যে–ই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়তে থাকবে। নয়াদিল্লিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (ওআরএফ) স্টাডিজ অ্যান্ড ফরেন পলিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট হর্ষ পান্ত বলেন, গত এক দশকে ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক এগিয়ে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে মোদি এই সম্পর্ক থেকে সুবিধা পেতে পারেন।

ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির সম্পর্ক দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সহায়তা করবে বলে মনে করেন কিংস কলেজ লন্ডনের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রভাষক ওয়াল্টার ল্যাডইউগও। তিনি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যানের মতে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে গণতান্ত্রিক সূচকে ভারতের পিছিয়ে যাওয়া এবং দেশটির সংখ্যালঘু অধিকারের মতো বিষয়গুলোর ওপর কম নজর দেওয়া হবে।

এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও চলতি বছর দুই দেশের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ—৬৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। যুদ্ধে মস্কোকে সহায়তার অভিযোগে সম্প্রতি ভারতের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর রাশিয়া নিয়ে ভারতের ওপর মার্কিন চাপ কমবে।

ট্রাম্প যদিও বারবারই রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে কথা বলেছেন। মস্কোকে সামরিকভাবে মোকাবিলার চেয়ে কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলাকে গুরুত্ব দেন তিনি। মাইকেল কুগেলম্যানের মতে, বিগত বছরগুলোয় রাশিয়াসহ যেসব বিষয়ে উত্তেজনা ভারত–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে শীতল করেছিল, তা কমতে পারে।

চীনকে ঘিরেও ভারত–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভালো হতে পারে। দুই দেশেই প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। এ ছাড়া এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দিন দিন নিজেদের উপস্থিতি জোরদার করছে বেইজিং। এমন পরিস্থিতিতে চীনকে সামলাতে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি হাত মেলাতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Scroll to Top