বিশ্বের অনেক দেশেই চিকিৎসকদের পাশাপাশি ফার্মাসিস্ট এমন একটি পেশা, যেখানে চিকিৎসক রোগ নির্ণয় করেন, আর ফার্মাসিস্ট প্রেসক্রিপশনটা (ব্যবস্থাপত্র) ঠিকমতো হলো কি না দেখেন, রোগীকে বুঝিয়ে দেন। প্রেসক্রিপশন নিয়ে যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করেন। এটা ডাক্তার খুব ফ্রেন্ডলিভাবেই নেন। ‘হসপিটাল ফার্মাসিস্ট’ বলেও একটা ধারণা আছে বিভিন্ন দেশে, বাংলাদেশে নেই বললেই চলে, কিছু বেসরকারি হাসপাতালে আছে। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষের ‘ফার্মাসিস্ট’ সম্পর্কে ভুল ধারণা আছে। এর একটা কারণ হতে পারে—সরকারি কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবে হয়তো ফার্মাসিস্টদের জন্য ক্ষেত্রটা সেভাবে তৈরি হয়নি। বলে রাখি, আমরা হলাম এ গ্রেড ফার্মাসিস্ট। ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট হচ্ছে বি গ্রেড ফার্মাসিস্ট। আর যাঁরা লাইসেন্স নিয়ে দোকানে ওষুধ বিক্রি করেন, তাঁরা সি গ্রেড।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোর একটি হলো ফার্মেসি। এখানে ভর্তির যোগ্যতা দুই রকম—প্রথমত, ভর্তি পরীক্ষায় কমপক্ষে ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাস করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আলাদা করে রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে ২৫–এর মধ্যে ১৬ পেতে হবে। অর্থাৎ যে শিক্ষার্থীরা ফার্মেসি পড়তে আসবে, তাদের রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে ভালো জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।