এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। ট্রাম্প জানান, বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা নেই এবং তিনি এই বিষয়টি মোদির হাতে ছেড়ে দিচ্ছেন।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরুর আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন দুই নেতা। তারা গণমাধ্যমের কাছ থেকে আসা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন।
একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের বিষয়ে আপনার অভিমত কি? কারণ এটা স্পষ্ট যে বাইডেন প্রশাসনের আমলে মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত ছিল। এছাড়া মুহাম্মদ ইউনূসও জুনিয়র সরোসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বাংলাদেশের বিষয়টি নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি?

জবাবে ট্রাম্প বলেন, এই বিষয়ে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না। এটা এমন একটি বিষয় যেটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এবং সত্য বলতে, শত শত বছর ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। কিন্তু আমি এটা (বাংলাদেশ বিষয়ক প্রশ্ন) প্রধানমন্ত্রীর (নরেন্দ্র মোদি) হাতে ছেড়ে দিচ্ছি।
এছাড়াও, বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান এবং ভারতের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। মোদি জানান, তিনি ট্রাম্পের উদ্যোগে যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেন এবং ভারত সবসময় শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের কোনো সমাধান যুদ্ধক্ষেত্রে পাওয়া যায় না, বরং আলোচনার মাধ্যমেই তা সম্ভব।
এই সফরটি যুক্তরাষ্ট্রে মোদির দশম সফর এবং ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন চতুর্থ সফর। ২০২৪ সালে মোদি সর্বশেষ বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে বারাক ওবামার শাসনামলে মোদি প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন।