শ্রমিকের রক্তে রাঙানো মহান ‘মে দিবস’ বৃহস্পতিবার (১ মে)। যে দিবসের মাহাত্ম নিয়ে বিশ্বের সব ভাষায়, সব দেশে লেখা হয়েছে প্রচুর গল্প, কবিতা, উপন্যাস। হয়েছে সিনেমাও। তবে মে দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে দেশে ও বিদেশে রচিত হয়েছে সবচেয়ে বেশী গান। এরমধ্যে আছে বহু প্রেরণাদায়ক গান, যা শ্রমিকদের অধিকার, সংগ্রাম ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। নিচে বাংলাদেশের এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মে দিবসের উল্লেখযোগ্য কিছু গানের ইউটিউব লিঙ্ক তুলে ধরা হলো:
বাংলাদেশের মে দিবসের গান
বাংলাদেশে মে দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন গণসংগীত ও লোকগান রচিত হয়েছে। যা শ্রমিকদের সংগ্রাম ও অধিকার নিয়ে কথা বলে। কিছু উল্লেখযোগ্য গান:
নাম তার ছিলো জন হেনরী- ১৯৭৩ সালে গানটি অনুবাদ করেন হেমাঙ্গ বিশ্বাস। সুর করে শুরুতে নিজেই গেয়েছিলেন। তার অনুদিত এই গানটি যুগে যুগে বহু মানুষ কণ্ঠে তুলেছেন।
জাগো জাগো সর্বহারা – বিখ্যাত আন্তর্জাতিক সংগীত ‘দ্য ইন্টারন্যাশনালে’-এর বাংলা রূপান্তর, যা শ্রমিকদের ঐক্য ও সংগ্রামের প্রতীক।
‘নয়া বাংলা গড়বো’ – ফকির আলমগীর পরিবেশিত গণসংগীতশিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাসের লেখা একটি জনপ্রিয় গান। যা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন ও শ্রমিকদের ভূমিকা নিয়ে রচিত।
মে দিবসের গান– প্রহ্লাদ ব্রহ্মচারীর কণ্ঠে একটি বাংলা লোকগান। যা মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে। ভারতীয় গণনাট্য সংঘের পরিবেশনায় গানটি ইউটিউবে পাওয়া যায়।
ওই উজ্জ্বল দিন, এসো মুক্ত করো, ও আলোর পথযাত্রীসহ বেশকিছু মে দিবসের গান রয়েছে। যেগুলো স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম ইউটিউবে পাওয়া যায়।
ভিনদেশে মে দিবসের গান
বিশ্বব্যাপী শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে অনেক গান রচিত হয়েছে, যা শ্রমিকদের অধিকার ও সংগ্রামের প্রতীক। কিছু উল্লেখযোগ্য গান থাকলো এখানে-
‘দ্য ইন্টারন্যাশনালে’– ইউজিন পটিয়ের রচিত ও পিয়ের দে গেইটার সুরারোপিত এই গানটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম প্রতীক।
‘সলিডারিটি ফরেভার’– রালফ চ্যাপলিন রচিত এই গানটি শ্রমিকদের ঐক্য ও সংহতির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বেলা সিয়াও – ইতালীয় কৃষিশ্রমিকদের দ্বারা গাওয়া এই গানটি পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে।
ওয়ার্কিং ক্লাস হিরো– জন লেননের এই গানটি শ্রমিক শ্রেণির জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে রচিত।
হুইচ সাইড আর ইউ অন?– কেন্টাকি’র কয়লাখনির শ্রমিকদের আন্দোলনের সময় রচিত এই গানটি শ্রমিকদের সংগ্রামের প্রতীক।