হিস্টনে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচলো বাংলাদেশ দল। ১০ রানে ৬ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে ২০ ওভারে মাত্র ১০৪ রান করে যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে ৫০ বল হাতে রেখে বিনা উইকেটে ১০৫ চেজ করে টাইগাররা। টি-টোয়েন্টিতে এটাই বাংলাদেশের প্রথম ১০ উইকেটের জয়।
ছোট টার্গেটে যেমন ব্যাট করা উচিত, দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং সৌম্য সরকার ঠিক সেটাই করেছেন। প্রথম ওভারে ৮, তিন ওভারে ২৫, পাওয়ারপ্লেতে ৪৮; বিনা উইকেটে। পরের চার ওভারে বাংলাদেশ বোর্ডে যোগ করেছে আরো ৪১, দশ ওভার শেষে টাইগারদের স্কোর ৮৯। বাকি ১৬ করতে সৌম্য-তামিমের লেগেছে মোটে ১০ বল।
৩৯ বলে ফিফটি পূরণ করেন তামিম। ৭ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এরই মধ্যে তিনটি ফিফটি করে ফেলেছেন তামিম, জানানও দিয়ে রাখলেন বিশ্বমঞ্চে ভালো করার জন্য কতখানি প্রস্তুত এই তরুণ। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৫ চার, ৩ ছক্কায় তামিম অপরাজিত ৫৮ রানে। সঙ্গী সৌম্য ৪ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ বলে অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পেলেও পরে সেই ধারা ধরে রাখতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। পাওয়ারপ্লে’তে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৬ রান করা দলটা নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পেরেছিল মোটে ১০৪ রান।
বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত ছিলেন রিশাদ হোসেন এবং মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভার বল করে ৭ রান দিয়ে রিশাদ নিয়েছেন ১ উইকেট। মুস্তাফিজ ছিলেন অবিশ্বাস্য। ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন দ্য ফিজ। এটা বাংলাদেশি বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং ফিগার। এমনকি এ ম্যাচে মুস্তা ডট দিয়েছেন ১৮টি, যা এক ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য তাদের নিয়মিত একাদশ খেলায়নি। অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল, প্রথম ম্যাচের নায়ক হারমিত সিং, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির ম্যাচসেরা আলী খান এবং দলের অন্যতম সেরা পারফর্মার স্টিভেন টেইলরকে বিশ্রাম দিয়েছে দলটা। বাংলাদেশের একাদশেও ছিল দুই পরিবর্তন। জাকের আলীর পরিবর্তে একাদশে ফিরেছেন লিটন কুমার দাশ। এছাড়াও শরীফুল ইসলামের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন হাসান মাহমুদ।