শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও চালকের আসনে বাংলাদেশ। দিনের শেষদিকে ২৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম প্রায় একবছর পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন। দ্বিতীয় দিনে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৩৫০ বলে ১৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ বাংলাদেশের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
বুধবার গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দলের সিনিয়র সহকারী কোচ সালাউদ্দিন। মুশফিককে নিয়ে মুগ্ধতার কথা জানান।
‘আমি মনে করি, সে এমন একজন যে পুরো দলকে অনুপ্রাণিত করে। সে অনেক অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার। আগের কিছু ম্যাচে রান পায়নি। তার ওয়ার্ক এথিক্স দারুণ। ড্রেসিংরুমে সবসময় তার এই ক্যারেক্টার দেখায়। আমরা এটাই চাই একজন সিনিয়রের কাছ থেকে। এটা একটা অনুপ্রাণিত করার মতো ইনিংস, যা আসলে অন্য ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করেছে।’
মুশফিকের পাশাপাশি গলে সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে মিলে চতুর্থ উইকেটে ২৬৪ রানের জুটি গড়েছেন। দ্বিতীয় দিনে আউট হওয়ার আগে শান্ত ২৭৯ বলে ১৪৮ রান করেন। প্রায় দুবছর সেঞ্চুরি করা শান্ত আঙুলে ব্যথা নিয়ে শতক উপহার দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে প্রথমদিনের অনুশীলনে চোট পেয়েছেন। এরপর আঙুলে ব্যান্ডেজ নিয়ে ব্যাট করেছেন। সালাউদ্দিন জানালেন চোটের বিষয়টা।
‘তার আঙুলটা অনেক ফোলা ছিল এবং আঙুলে ব্যথা নিয়েই খেলেছে। শান্ত আলাদা ক্যারেক্টার, টাফ ছেলে। এত ট্রলের পরও মাথা যেভাবে ঠাণ্ডা রাখে, আমার মনে হয়, সেটা স্বাভাবিকভাবে অনেক ছেলেই হয়তো ধরে রাখতে পারবে না। সে অনেক কঠিন মানসিকতার একজন। একজন নেতা হিসেবে সে তার ক্যারেক্টার শো করেছে, যেটা ছেলেদের জন্য উপকার হবে।’
গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আলো ছড়িয়েছেন লিটন দাসও। ১২৩ বলে ৯০ রান করে ভুল শট খেলে সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফিরে গেছেন। সালাউদ্দিনের প্রশংসা পেয়েছেন তিনিও। বলেছেন, ‘পুরো ইনিংস সে অনেক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে খেলেছে, খুবই ঠাণ্ডা মাথায়। ওই শটটাই হয়তো পুরো ম্যাচের একমাত্র বাজে সিদ্ধান্ত ছিল। ক্রিকেটে এটা হতেই পারে। আশা করি সে এখান থেকে শিখবে। সামনে লিটন আরও বড় রান করবে বলে আমরা আশা করি। সে এটা নিয়ে কাজও করছে, আশা করি সামনে আর এমনটা ঘটবে না।’
দলের অন্যতম তিন ব্যাটার রান পাওয়াতে খুশি সালাউদ্দিন। বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে গত কয়েক ম্যাচে মুশফিক খুব বেশি রান পাচ্ছিল না। এখানে দারুণভাবে কামব্যাক করেছে। ক্যারেক্টার দেখিয়েছে। শান্তও পেরেছে। সেও কিছুটা চাপে ছিল। লিটনও অনেকদিন পরে রান পেল। এগুলো ড্রেসিংরুমের জন্য ইতিবাচক ব্যাপার। অনেকদিন পর তাদের এমন প্রত্যাবর্তন।’