মিয়ানমারে ভূমিকম্পে গৃহহীন ৩০ লাখ মানুষ

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে গৃহহীন ৩০ লাখ মানুষ

মিয়ানমারে ডব্লিউএইচওর এই উপপ্রধান বলেন, ভূমিকম্পের পর থেকে মানুষ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে থাকছেন। সবাই অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য তাঁবুও পাননি। অনেক হাসপাতালকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, আগামী রোববার থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এটা হলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।

মিয়ানমারে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি টিটন মিত্র গতকাল ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সাগাইংয়ে যান। সেখান থেকে মুঠোফোনে রয়টার্সকে বলেন, ‘শুনলাম দু-এক দিনের মধ্যে ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে। যদি তা হয়, তাহলে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ। ভূমিকম্পে অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। খোলা আকাশের নিচে ও রাস্তায় তাঁবু গেড়ে বা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে থাকছেন তাঁরা। এর মধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে সত্যিকার অর্থেই সেটা এক বড় সংকট হয়ে দেখা দেবে। এতে পানিবাহিত নানা রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়বে।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তাসংক্রান্ত সংস্থার (ওসিএইচএ) প্রধান মারকোলুইগি কোরসি বলেন, ‘ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে এবং তা বেড়েই চলেছে। প্রাথমিকভাবে যা জানা যাচ্ছে, তাতে বলা যায়, বিপুলসংখ্যক মানুষ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পের প্রভাব কতটা ব্যাপক, তা নির্ণয় করতে আমরা এখনো তথ্য সংগ্রহ করে চলেছি। তবে আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য খাবার-পানি ও থাকার বন্দোবস্ত করাটা জরুরি।’

Scroll to Top