রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী মো.সোহাগ হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া মাহমুদুল হাসান মহিন দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামি এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ রোববার (২০ জুলাই) দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন তিনি।
আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গত ১০ জুলাই মাহমুদুল হাসান মহিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৫ জুলাই মাহমুদুল হাসান মহিনের দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ওই ঘটনায় পরের দিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়।
নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।