তৃতীয় দিনে ২০৪ রানের লক্ষ্যে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হাতে ছিল দুদিন। এই সমীকরণ মেলাতে পারেননি ক্যারিবীয়রা। অজি পেসার মিচেল স্টার্কের তোপের মুখে মাত্র ২৭ রানে গুটিয়ে গেছে উইন্ডিজ। ১৭৬ রানের বিশাল জয় তুলেছে আজিরা, জিতে নিয়েছে সিরিজ। একবিংশ শতাব্দীতে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ এখন উইন্ডিজের।
২৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় উইন্ডিজ। টেস্ট ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর চেয়ে কম রানে অলআউট হয়েছিল কেবল নিউজিল্যান্ড। ১৯৫৫ সালে, কিউইরা ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড ইনিংস ও ২০ রানে জয় তুলেছিল।
সোমবার রাতে জ্যামাইকার স্যাবিনা পার্কে তৃতীয় দিনে ৬ উইকেটে ৯৯ রান থেকে আস্ট্রেলিয়া শুরু করে দ্বিতীয় ইনিংস। ৩৭ ওভার খেলে ১২১ রানে থামে আজিদের ইনিংস। জবাবে ব্যাটে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা।
২০৪ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ওভারেই মেডেন দিয়ে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ক্যারিবীয়রা। ৫ ও ৭ রানে আরও দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। উইন্ডিজের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে আগুন ঝরেছে স্টার্কের বোলিংয়ে। সবচেয়ে কম ১৫ বলে ৫ উইকেট তুলে নেয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। হ্যাটট্রিক করেচেন স্কট বোল্যান্ড, ২ ওভারে ২ রান দিয়ে ১টি মেডেন ছিল তার। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রানটাই ছিল ১১, যেটি জাস্টিন গ্রিভসের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে।
এর আগে অজিরাও ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি। ৯৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল তারা। তৃতীয় দিনে স্কোর বোর্ডে যোগ করতে পারে কেবল ২২ রান। ১২১ রানে গুটিয়ে যায়। শামার জোসেফ ৪টি এবং আলঝারি জোসেফ ৫টি উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ২২৫ রান। জবাবে উইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে থেমেছিল ১৪৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে টেনেটুনে একশ পার করতে পারলে তারা দিবা-রাত্রির টেস্টটিতে দুইশ পেরোনো লক্ষ্য দিতে পারে স্বাগতিকদের।