‘মাত্র ২০ টাকায় কত আনন্দ কেনা যায় মানুষ জানে না’

‘মাত্র ২০ টাকায় কত আনন্দ কেনা যায় মানুষ জানে না’

হাবিবুরের একমাত্র ছেলে জামিলুর রহমান। পড়ছে নটর ডেম কলেজে। হাবিবুরের রাজার দেউড়ি এলাকায় এখন কোনো পশুপাখি নেই। তবে একসময় তিনি অনেক কবুতর পালতেন। একসঙ্গে ৫০ থেকে ৬০টি কবুতরও তিনি পুষেছেন।

এখন এই শহরে জায়গা কমে আসছে, মানুষই থাকতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন হাবিবুর। বলেন, একসময় পুরান ঢাকার বাড়িগুলো ছিল দু-এক তলার। তখন বানর থেকে শুরু করে আরও অনেক রকম প্রাণীর সঙ্গে মানুষের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এখন ছয়-সাত তলা ভবনগুলোতে মানুষের সঙ্গে পশুপাখির সহাবস্থানের কথা কল্পনারও অতীত।

রমনায় রোজ ওদের জন্য কী খাবার নিয়ে যান, জিজ্ঞেস করলে হাবিবুর জানান, নোনতা স্বাদের একধরনের বিস্কুট। বিস্কুটটা সহজে গুঁড়া হয়ে যায়। পাখি, কাঠবিড়ালিরা বেশি পছন্দ করে এটা।

কত টাকার খাবার কেনেন প্রতিদিন, জানতে চাইলে হাবিবুর বলেন, ‘মাত্র ২০ টাকার। ২০ টাকায় কত আনন্দ কেনা যায়, মানুষ জানে না। জানলে পার্কে হাঁটতে আসা আরও অনেকে রোজ পাখি-কাঠবিড়ালির জন্য খাবার নিয়া আইত। আর ওরাও মানুষরে কম ভয় পাইত।’

Scroll to Top