Last Updated:
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে এই তালিকা প্রকাশ বলে দাবি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের। গত কয়েকদিন ধরেই ধাপে ধাপে এই তালিকা প্রকাশ শুরু করেছে সিইও দফতর।

কলকাতা: জল্পনাটা যেন সেই জিইয়েই থাকছে৷ গত শনিবারই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের মন্তব্য ঘিরে গাঢ় হয়েছিল জল্পনা৷ এবার ২৩ বছর আগের নথিপত্র ঘাঁটা শুরু করতেই আবারও ঘৃতাহূতি পড়ল সেখানে৷ রাজ্যে ফের শুরু স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) নিয়ে কথা। জানা গিয়েছে, ২৩ বছর আগের ভোটার তালিকা প্রকাশ প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।
রাজ্যে শেষ SIR বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা ভোটার তালিকার নিবিড় ঝারাই বাছাই হয়েছিল ২০০২ সালে। জেলা ও বিধানসভা ভিত্তিক সেই তালিকা এবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা শুরু করল।
এটি রুটিন যদিও প্রক্রিয়া বলে দাবি সিইও দফতরের। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমার কাছে খবর আছে ওরা ২০০২ সালে তালিকা মেনেই এগোতে চাইছে।”
কোচবিহার, জলপাইগুড়ি,দার্জিলিং,উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলাগুলির বিধানসভার তালিকায় ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনে আধিকারিক এর দফতর।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে এই তালিকা প্রকাশ বলে দাবি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের। গত কয়েকদিন ধরেই ধাপে ধাপে এই তালিকা প্রকাশ শুরু করেছে সিইও দফতর।
এখনও পর্যন্ত ১০ টি জেলার একাধিক বিধানসভার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে ওয়েবসাইটে। আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার থেকে এই নিয়ে তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
গত শনিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল বলেছিলেন, ‘‘SIR তো হতেই পারে৷ ফিউচারে তো হতেই পারে৷ পরে তো ট্রেনিং হবে না৷ ইলেকশন তো হবে ৬-৮ মাস পরে৷ আমরা গোটা সিলেবাস একবারই করাব না, যেটা আছে৷’’ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের এমন মন্তব্যে এটা অন্তত স্পষ্ট যে এসআইআর-এর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকছেন তাঁরা৷
July 28, 2025 10:34 PM IST