‘মব ভায়োলেন্স প্রশ্রয় দেওয়া হবে না’, কিন্তু প্রশ্রয় দিচ্ছে কে

‘মব ভায়োলেন্স প্রশ্রয় দেওয়া হবে না’, কিন্তু প্রশ্রয় দিচ্ছে কে

এখন এই যে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলা হচ্ছে, সেটি কীভাবে সম্ভব? পুলিশই তো এর থেকে রেহাই পাচ্ছে না (৬ মাসে পুলিশের ওপর ২২৫ হামলা, মব নিয়ে উদ্বেগ: প্রথম আলো, ৭ মার্চ ২০২৫)। থানার ভেতরে ঢুকে পর্যন্ত মব ভায়োলেন্স করার ঘটনা ঘটেছে।

শুধু ঢাকায় সংবাদমাধ্যমের সামনে ‘কঠোর হব’, ‘বরদাশত করা হবে না’—এসব বলাই কি মব ঠেকানো যথেষ্ট? সরকারের কেউ কেন শতাধিক মাজার ভাঙচুরের একটি ঘটনাস্থলেও গেলেন না; মবের ঘটনা সাজিয়ে মসজিদের ইমামকে হত্যা করা হলো, তার এতিম মেয়ের কাছে কেউ গেলেন না; কেন মবের হামলার শিকার আহত পুলিশকে কেউ হাসপাতালে দেখতে গেলেন না? 

স্থানীয় পর্যায়ে উপস্থিত হওয়ার মধ্য দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে দিকনির্দেশনা দিয়ে, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে আলোচনার মধ্য দিয়ে সরকারের যে দৃঢ়তা প্রদর্শন করা যায়, সরকারের সদিচ্ছা বা মনোভাব প্রকাশ করা যায়, সেটি কি ঢাকায় বসে শুধু ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে সম্ভব? এর ফলে মানুষ যদি মনে করে থাকে সরকার নিজেই এই মব ভায়োলেন্সকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, তা কি অযৌক্তিক হবে?

রাফসান গালিব প্রথম আলোর সম্পাদকীয় সহকারী

ই–মেইল: [email protected]

Scroll to Top