যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় গত শনিবার থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমারের আমদানি পণ্যবোঝাই কোনো জাহাজ বা কার্গো ট্রলার আসতে পারেনি। স্থলবন্দরে পণ্য নিয়ে আসা একাধিক জাহাজও মিয়ানমারে ফিরতে পারছে না।
টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য নিয়ে আসা মিয়ানমারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আরাকান আর্মি এখন রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিথুয়ে (আকিয়াব) দখলের চেষ্টা করছে। সিথুয়ে দখল করতে পারলে পুরো রাখাইন রাজ্য আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। তখন বাংলাদেশের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কোন দিকে গড়ায়, বোঝা যাচ্ছে না।
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনার ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, গত শুক্রবার মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে মাছভর্তি একটি কার্গো ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটিতে ভিড়েছিল। এরপর গতকাল বিকেল পর্যন্ত আর কোনো পণ্যবোঝাই ট্রলার আসেনি। মিয়ানমার থেকে ট্রলারে করে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, শুঁটকি, হিমায়িত মাছ আমদানি হয়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ৮ ডিসেম্বর আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউন পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। একই দিন তারা (এএ) দেশটির জলসীমানায় (নাফ নদীতে) সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে তাঁরাও টেকনাফের নৌযানগুলোকে নাফ নদীতে চলাচল করতে নিষেধ করে দিয়েছেন।
একই সঙ্গে সীমান্তবর্তী জল ও স্থলপথে টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ প্রসঙ্গে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ। কাউকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।