আহমেদ রেজা:
মার্কিন ভিসা আছে, কিন্তু নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন, এমন ব্যক্তিকেই কেবল ভিসা প্রত্যাহারের কথা জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। অন্য যারা এ নীতির আওতায় পড়ছেন, তারা টের পাবেন ভিসার আবেদন করার পর। যমুনা টেলিভিশনের ই-মেইলের জবাবে এ কথা জানায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
ই-মেইলে দেয়া জবাবে এই প্রক্রিয়া নিয়ে খোলাসা করেছে মার্কিন দূতাবাস। জানায়, কারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্ষুণ্নের সাথে জড়িত, তা নির্ধারণে দেশটির নিজস্ব প্রক্রিয়া রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশিদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি আরোপের পর থেকেই মুখে মুখে প্রশ্ন, কারা আছেন নিষিদ্ধের তালিকায়? ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু নাম নিয়ে গুঞ্জনও শোনা যায়।
তবে, ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে ব্যক্তির ভিসার তথ্য গোপনীয়। এটি প্রকাশ করা হবে না। আর যাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা, তারা কীভাবে জানবেন বিষয়টি স্পষ্ট করা হয় ই-মেইলে।
যমুনা টেলিভিশনের এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন দুতাবাস জানায়, ঘোষণা দিয়ে দফায় দফায় ভিসানীতি আরোপের কথা বলা হবে না। তবে, ভিসানীতি ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাইডেন প্রশাসন।
গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে ক্ষুণ্ন করা বলতে কী বোঝায়, তারও একটি বিবরণ উল্লেখ করেছে দূতাবাস। সেগুলো হলো— ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, জনগণের সভা-সমাবেশে যোগ দেয়ার স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঠেকাতে সহিংসতা এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ ঠেকানোর মতো কর্মকাণ্ড।
মার্কিন দূতাবাস পুনরায় জানিয়েছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার সাথে জড়িত যে কেউ-ই ভিসানীতির আওতায় পড়তে পারেন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও ভিসানীতির আওতায় পড়তে পারেন।
দূতাবাসের দাবি, কারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করছেন, ভিসানীতি কাদের ওপর প্রয়োগ হবে, তা নির্ধারণের জন্য নিজস্ব প্রক্রিয়া আছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। তথ্য কয়েক ধাপে যাচাইবাছাই করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মার্কিন দূতাবাস ই-মেইলে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সমর্থনে বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, ভিসানীতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জনগণ, সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে।
/এমএন